করোনা সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে ভারতে। শুধু দিল্লিতেই ৬ দিনে ৬২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি করোনা ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ করেও, মানুষের সচেতনতার অভাবে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। এ হেন পরিস্থিতিতে খানিক আশার খবর শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
আজতক-কে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাত্কারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানালেন, করোনার সঙ্গে লড়াই চলছে গত ১১ মাস ধরে। কেন্দ্র ও রাজ্য একযোগে করোনার মোকাবিলা করছে। পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হলেও নিয়ন্ত্রণে। দেশে ৯০ লক্ষ করোনা নিশ্চিত কেসের মধ্যে ৮৫ লক্ষের করোনা সেরে গিয়েছে। রিকভারি রেট সবচেয়ে বেশি ভারতের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানালেন, টেস্ট ও ট্রেসিংয়ের সাহায্যে করোনাকে রোখা যায়। সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিহ্নিত করা জরুরি। সবচেয়ে বেশি টেস্ট করা দরকার সুপার স্প্রেডার এলাকাগুলিতে। দিল্লিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা দূষণ। সব রাজ্যের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। করোনা রুখতে সবাই এক যোগে কাজ করছি।
তাঁর কথায়, 'করোনা প্রভাবিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন মোদীজি। প্রধানমন্ত্রী নিজে আপডেট রাখছেন সব কিছু। প্রথম দিন থেকে লাগাতার মনিটরিং করছেন।'
কবে আসবে ভ্যাকসিন? হর্ষ বর্ধন জানালেন, গোটা বিশ্বে মোট ২৫০টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের উপরে কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে ৩০টি ভ্যাকসিন ভারতের জন্য। ৫টির ট্রায়াল ইতিমধ্যেই চলছে ভারতে। সরকারের দুটি মূল অ্যাজেন্ডা হল, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা। ২০২১-এর প্রথম তিন মাসের মধ্যেই আমরা ভ্যাকসিন পাবো। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ কোটি ভারতীয়কে ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হবে।