করোনার একটি নতুন ধরন নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত বিশ্ব। করোনার এই নতুন স্ট্রেইন এক সপ্তাহের মধ্যেই ধরা পড়তেই গোটা ব্রিটেনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এমনকী ইতালি, অস্ট্রেলিয়াতেও এই নতুন স্ট্রেনের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তা নিয়ে এখন গোটা বিশ্বে নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিজ্ঞানী মহল জানিয়েছে, করোনার এই নতুন স্ট্রেন-এর সংক্রামক ক্ষমতা আগের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি। তাই এই নতুন স্ট্রেন-এর জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা আগের থেকে অনেক বেশি।
যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন এই স্ট্রেইনটি আগের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে ছড়ায়। ফলে এটি অনেক দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। ভাইরাসটি নিজ দেশে যাতে না ঢোকে, সেই চেষ্টাতেই এখন ব্যস্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে।
এই ভাইরাস ব্রিটেনে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। বুধবার ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানক এই বার্তা দিয়েছেন।
সারা বিশ্বের যখন ঘুম ওড়াচ্ছে ব্রিটেনে পাওয়া যাওয়া করোনার নতুন স্ট্রেইন, তখন সুখব দিল মোদার্না। তাদের তৈরি ভ্যাকসিন নতুন করোনা স্ট্রেইনকে প্রতিরোধ করতে পুরোপুরি কার্যকর এমনই দাবি করছে মার্কিন সংস্থাটি।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে আবিষ্কার হওয়া টিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করবে। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বিশ্ববাসী।
কিন্তু আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যত দিন যাবে তত নতুন স্ট্রেন উৎপন্ন করবে ভাইরাস। অর্থাৎ মিউটেশন করতেই থাকবে ভাইরাস।
তবে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনকে কড়া টক্কর দিতে পারে আমেরিকার মোদার্না ভ্যাকসিন। এমনই দাবি করেছে প্রস্তুতকারক সংস্থা।
আগেই আমেরিকার ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। এবার কানাডায় মার্কিন ড্রাগ সংস্থা মডার্নার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে দ্বিতীয় কার্যকরী ভ্যাকসিন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ভ্যাকসিন ৯৪.১ শতাংশ বেশি কার্যকর করোনায় আক্রান্তদের জন্য।