দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,৯৪,৭২০ জন। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল দেশে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৬৮,০৬৩। অর্থাৎ, গতদিনের চেয়ে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় ২৬,৬৫৭ বেড়ে গিয়েছে।
করোনার থার্ড ওয়েভে হু হু করে বাড়ছে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ (Maria Van Kerkhove) ওমিক্রন সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, কোভিডের এই ভেরিয়েন্টের প্রকোপে মানুষের একাধিকবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া, যাঁদের করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁরাও ওমিক্রন দ্বারা সংক্রমিত হতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওমিক্রন ডেল্টার তুলনায় কম বিপজ্জনক আর এই ভেরিয়েন্টের মারণ ক্ষমতাও কম। ফলে খুব বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্তরা সেরে উঠবেন ৩-৪ দিনের মধ্যেই।
বিশ্বজুড়েই হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও করোনায় প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এমতাবস্থায় করোনার ভ্যাকসিন নতুন Omicron ভেরিয়েন্টে কার্যকর হবে কি-না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সকলের একটাই প্রশ্ন, কবে শেষ হবে করোনা মহামারী?
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানান, করোনা মহামারী শেষ হতে পারে। তবে তার জন্য বিশ্বের সমস্ত দেশের সরকার এবং ভ্যাকসিন নির্মাতাদের অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে ভ্যাকসিনের সরবরাহ বাড়াতে হবে।
We can end the #COVID19 pandemic but governments and manufacturers must:
— Tedros Adhanom Ghebreyesus (@DrTedros) January 10, 2022
-Increase vaccine supplies to countries at risk with low coverage
-Ensure the resources needed to get jabs in arms
We are not safe anywhere until we are safe everywhere. #VaccinEquity https://t.co/8zbFk52UxI
এর পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ডিরেক্টর জেনারেল জানান, সকলেই যাতে দ্রুত করোনার টিকা পান, তার জন্য যাবতীয় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা সব জায়গায় নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত, কোথাও নিরাপদ নই।”