scorecardresearch
 

করোনায় মৃতের আত্মীয়ের কাছে তোলাবাজির অভিযোগ উত্তরবঙ্গে

করোনায় মৃতের আত্মীয়ের কাছ থেকে মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে এলাকায়। যদিও এমন কোনও অভিযোগ তাঁদের জানা নেই বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • মৃতদেহ পোডা়তে মোটা টাকা দাবি কর্মীদের
  • কোভিড রোগীদের সঙ্গে অন্য রোগীদের রাখার অভিযোগ
  • খতিয়ে দেখার আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

করোনায় মৃতের আত্মীয়ের কাছ থেকে মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে এলাকায়। যদিও এমন কোনও অভিযোগ তাঁদের জানা নেই বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

পরিবারের দাবি

গত শনিবার শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে চিকিসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ওই রোগীকে। রবিবার বিকেলে রিপোর্ট এলে জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রাতে খাবারও খান ওই রোগী । পরে কয়েক ঘন্টার মধ্যে বাড়ির লোককে জানানো হয়, রোগীর অবস্থা ভাল নয়। সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি মারা যান বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, রাতেই মৃতদেহ ছেড়ে দেওয়াা হয়। করোনায় মৃত্যু হওয়ায় দেহ নিতে ইতস্তত করেন তাঁরা।

মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ

মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, তারাই মৃতদেহ  দাহ করে দেওয়ার বিনিময়ে চার হাজার টাকা চাওয়া হয়। পরে সাড়ে তিন হাজারে রফা হয়। কিন্তু মৃত রোগীর দেহ ওয়ার্ড থেকে নামাতেই দুজন আরও ১৮০০ টাকা দিতে বাধ্য করেন। পরে সোমবার ভোরে মৃত্যু শংসাপত্র নিতে যেতে বলা হয়। কিন্তু যথা সময়ে গেলেও তাঁদের ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি

এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে পরিবারের তরফে তাদের কিছু জানানো হয়নি। তবে খোঁজ নেওয়া হবে। এমন হলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে এমন ঘটনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। 

চিকিসা নিয়ে প্রশ্ন

হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোভিড রোগীদের অন্য রোগীদের আলাদা রাখা হচ্ছে না। এ দিন জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে ওই রোগীদের অন্য হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কোভিড ওয়ার্ড চালু করতে জেলা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। অথচ এ দিন থেকে পঞ্চাশ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড জেলা হাসপাতালে চালুর কথা জানিয়েছিলেন ওএসডি সুশান্ত রায়। তা হয়নি।

Advertisement

সামাজিক সংগঠনের দাবি

এদিকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে প্রতিদিন। নিয়ন্ত্রণে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের সদস্যারা। 

 

Advertisement