সুস্থতার হারে বৃদ্ধি
দেশে করোনায় সুস্থতার সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। রবিবারও সুস্থতার হার ছিল নতুন আক্রান্তের চেয়ে বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খবর এসেছে কেরল থেকে। দেশের এক চতুর্থাংশের বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে কেরলেই। অন্যদিকে মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র।
আক্রান্তে শীর্ষে কেরলই
শেষ ২৪ ঘন্টায় ভারতে ৪৩ হাজার ৭১ টি নতুন করোনা আক্রান্তের ঘটনা রেজিস্টার হয়েছে। করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যায় প্রথম স্থানে রয়েছে এখনও কেরলই। শেষ ২৪ ঘন্টায় কেরালায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৫৬ জন।
মৃত্যুতে সর্বোচ্চ মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ৯ হাজার ৪৮৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তামিলনাড়ুতে ৪ হাজার ১৩ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। অন্যদিকে চতুর্থ স্থানে থাকা অন্ধপ্রদেশ ২ হাজার ৯৩০ এবং ওড়িশা ২ হাজার ৯১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
কেরল আক্রান্তের এক চতুর্থাংশ
নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ৭৩. ৮৪ শতাংশ এই পাঁচটি রাজ্যেই ধরা পড়েছে। যেখানে শুধুমাত্র কেরল এক চতুর্থাংশ জায়গা অধিকার করে রেখেছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ধরা পড়েছে ৯৫৫ জন।
মৃত্যুর সংখ্যায় সামান্য বৃদ্ধি
শনিবারের চেয়ে সামান্য বেশি মৃত্যু লিপিবদ্ধ হয়েছে রবিবার। মৃত্যুর সংখ্যায় এবং সবচেয়ে উপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সংখ্যা ৩৭১ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল, তাদের আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৫ জন।
আরোগ্য ভাল
ভারতের আরোগ্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭.০৯ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘন্টায় মোট ৫২ হাজার ২৯৯ জন রোগী করোনা থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। যা নিয়ে আজ পর্যন্ত সর্বমোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২ কোটি ৯৬ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮ জন। এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা রয়েছে ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৫০ জন।
টিকাকরণে বৃদ্ধি
শেষ ২৪ ঘন্টায় ৬৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪৯ জনকে টিকাকরণ করা হয়েছে। যা নিয়ে সর্বমোট টিকাকরণ করার সংখ্যা এ পর্যন্ত ৩৫ কোটি ১২ লক্ষ ২১ হাজার ৩০৬ জন। ১৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৯০ জন এর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে শেষ ২৪ ঘন্টায়।
তৃতীয় ওয়েভে আশঙ্কা
অন্যদিকে করোনার তৃতীয় ওয়েভ সম্ভবত অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে আছে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাষে বলা হয়েছে। যদিও পরিষ্কার করে এখনও তা বলা যাচ্ছে না, কিন্তু যদি দ্বিতীয়বার মধ্যে যে সমস্ত ঘটনাগুলি লিপিবদ্ধ হচ্ছে, তার অর্ধেকও যদি ধরা যায়, তাহলে সে সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে কোভিড ইনফেকশন তৃতীয় ওয়েভে বাড়তে পারে যদি সার্স কেভিড ২ কে রুখে দেওয়া না যায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।