EXCLUSIVE: পকেট ভেন্টিলেটর! কলকাতার বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার

পেশায় ইঞ্জিনিয়ার রমেন্দ্রলাল এর আগেও একাধিক আবিষ্কার করেছেন। এটা তাঁর প্যাশন। এবার তাঁর আবিষ্কার পকেট ভেন্টিলেটর। রোগীর শ্বাস কষ্ট হলে এই পোর্টাবল ভেন্টিলেটর সহজেই ব্যবহার করা যাবে। বিশেষ করে বড় মাপের যে CPAP হাসপাতালগুলিতে ব্যবহার করা হয়, এই পকেট ভেন্টিলেটর নিঃসন্দেহে তার বিকল্প হতে পারে বলে জানাচ্ছেন রমেন্দ্রলাল। 

Advertisement
পকেট ভেন্টিলেটর! কলকাতার বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কাররামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • রমেন্দ্রলাল এর আগেও একাধিক আবিষ্কার করেছেন
  • এই পোর্টাবল ভেন্টিলেটর সহজেই ব্যবহার করা যাবে
  • দামও বেশি হবে না এই ভেন্টিলেটরের

করোনা পরিস্থিতিতে (COVID-19) পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটরের অভাব তীব্র ভাবেই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে। বিদেশ থেকেও আমদানি করতে হচ্ছে ভেন্টিলেটর। এহেন সময়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার করলেন কলকাতার বিজ্ঞানী, তা হল পকেট ভেন্টিলেটর। কোভিড সঙ্কটের এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানী রমেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়ের এই আবিষ্কার সাড়া ফেলে দিয়েছে চিকিত্‍সক মহলে। 

কেমন এই পকেট ভেন্টিলেটর?

পেশায় ইঞ্জিনিয়ার রমেন্দ্রলাল এর আগেও একাধিক আবিষ্কার করেছেন। এটা তাঁর প্যাশন। এবার তাঁর আবিষ্কার পকেট ভেন্টিলেটর। রোগীর শ্বাস কষ্ট হলে এই পোর্টাবল ভেন্টিলেটর সহজেই ব্যবহার করা যাবে। বিশেষ করে বড় মাপের যে CPAP হাসপাতালগুলিতে ব্যবহার করা হয়, এই পকেট ভেন্টিলেটর নিঃসন্দেহে তার বিকল্প হতে পারে বলে জানাচ্ছেন রমেন্দ্রলাল। 

এই সেই পকেট ভেন্টিলেটর

তাঁর কথায়, 'সম্প্রতি আমারও করোনা হয়েছিল। অক্সিজেনের মাত্রা হঠাত্‍ কমতে শুরু করে। তখনই আমার মাথায় আসে, এমন একটি ভেন্টিলেটর তৈরি করতে পারলে কেমন হয়? আমার অক্সিজেন লেভেল ৮৮-তে নেমে গিয়েছিল। আমার পরিবার চেয়েছিল হাসপাতালে ভর্তি করতে। যদিও আমি সঙ্কট থেকে বেঁচে ফিরে এসেছি। কিন্তু আইডিয়াটা মাথায় ঘুরতে থাকে, এমন একটি ভেন্টিলেটর তৈরি করতে হবে, যা পোর্টেবল ও রোগীর হঠাত্‍ শ্বাসকষ্ট হলে চটজলদি ব্যবহার করতে পারবেন।'

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ শুরু করে দেন রমেন্দ্রলাল। প্রয়োজনীয় সামগ্রী জড়ো করে পকেট ভেন্টিলেটর তৈরিতে লেগে পড়েন। ২০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রটোটাইপ তৈরি হয়ে যায়। 

ডিভাইসটির দুটি অংশে বিভক্ত। একটি পাওয়ার ইউনিট ও একটি ভেন্টিলেটর ইউনিট, যা মাউথপিসের সঙ্গে যুক্ত। সুইচ অন করলেই, ভেন্টিলেটর বাইরে থেকে বাতাস নিয়ে আল্ট্রা ভায়োলেট চেম্বারের মধ্যে তা জীবানু মুক্ত করে রোগীকে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। একই ভাবে যখন শ্বাস ছাড়বে, আরেকটি ইউভি চেম্বার দিয়ে সেই কার্বন ডাই-অক্সাইড বেরিয়ে যাবে।

তিনি বলছেন, 'কোনও ব্যক্তি যদি Covid আক্রান্ত হন, তা হলে শ্বাস ছাড়ার সময়ে UV ফিল্টারে ভাইরাস মুক্ত হয়ে সেই তা বেরবে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা কম, ডাক্তাররাও নিরাপদে ব্যবহার করতে পারবেন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রান্ত যখন বাড়ছে, তখন এই ডিভাইস নিঃসন্দেহে নিরাপদ বিকল্প হতে পারে।'

Advertisement

২৫০ গ্রাম ওজনের এই পকেট ভেন্টিলেটরে ব্যাটারি রিচার্জেবল। একবার চার্জ দিলে প্রায় ৮ ঘণ্টা চলতে পারে। USB type 2 অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল চার্জার দিয়েই চার্জ দেওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, রমেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়ের ৩০টি পেটেন্ট ইতিমধ্যেই রয়েছে। এবার তাঁর এই পকেট ভেন্টিলেটর স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক অনবদ্য আবিষ্কার হিসেবেই মনে করা হচ্ছে।

ছবি: প্রতিবেদক

POST A COMMENT
Advertisement