দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে তিন শিশুর করোনা (Corona) পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ (Covid Positive) আসায় তৎপর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মারণ ভাইরাসের বিষাক্ত দংশন রুখতে জরুরি বৈঠকে বসলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। মানুষের সচেতনতা বাড়াতে নেওয়া হলো বিশেষ কর্মসূচি।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে জ্বর সর্দিকাশি নিয়ে ভর্তি হওয়া তিন শিশুর নমুনা পরীক্ষার পর পজেটিভ রিপোর্ট আসায় নড়ে চড়ে বসলো জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসনিক ভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন জেলা সহ স্বাস্থ্য আধিকারিক কেকা মুখোপাধ্যায়, দর্গাপুর নগর নিগমের কমিশনার ময়ূরী বাসু, দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ রাখী তিওয়ারি এবং দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স এর প্রতিনিধিরা।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক কেকা মুখোপাধ্যায় জানান, আরও বেশি করে মানুষকে সচেতন হতে হবে, কারণ সচেতনতা ছাড়া মারণ ভাইরাস রোখার বিকল্প কোনও রাস্তা নেই। নগর নিগমের স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ রাখী তিওয়ারি জানান, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পর মানুষ অতিরিক্ত ঝুকি নিয়ে ফেলছেন এবং মাস্ক পরা সহ সাধারণ সরকারি বিধি নিষেধগুলি মেনে চলছেন না। ফলে বিপদ বাড়ছে। শুধুমাত্র দুর্গাপুর মহকুমাতেই এখনও পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে বলে জানান রাখী তিওয়ারি।
অন্যদিকে দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক ভোলা ভগত জানান, সরকারি বিধি নিষেধে কড়াকড়ি আনতে মঙ্গলবার থেকে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গত শনিবার দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা হাসপাতালে তিন শিশুর নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সামনেই পুজো, বাজারে কেনাকাটার জন্য যেমন ভিড় বাড়ছে, ঠিক তেমনই পুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপেও ভিড় বাড়বে। ফলে থাকছে নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে তাই ঝুঁকি এড়াতে আগেভাবেই তৎপর জেলা প্রশাসন।