বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দিল্লি, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্য লকডাউনের পথে হাঁটলেও সব রাজ্য তা করেনি। এখনই কি দেশজুড়ে লকডাউন করা উচিত? কী মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা?
ড: গিরিধরবাবু (লাইফকোর্স এপিডেমিলজির প্রধান)
এই চিকিৎসক লকডাউনকে সমাধান বলে মনে করেন না। তাঁর কথায়, 'এই ভাইরাস প্রতিমুহূর্তে নিজের রঙ বদলাচ্ছে। তাই লকডাউন সমাধানের পথ নয়। বরং, কনটেইনমেন্ট জোন চালুর পথে হাঁটা যেতে পারে। কারণ, সব জায়গায় তো আর সংক্রমণ সমানভাবে ছড়াচ্ছে না। শহরে যতটা আছে, গ্রামে ততটা সংক্রমণ নেই। লকডাউন করলে সবাইকে অসুবিধেয় পড়তে হবে। আর লকডাউন করে করোনার চেইনকে ভাঙা যায় ঠিকই তবে তাতে ক্ষতিও অনেক বেশিই। তাই এখনই লকডাউন করা ঠিক হবে না।
ড: বিশাল রাও (কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য)
'লকডাউন আমাদের সাহায্য করে একথা ঠিক তবে লকডাউন করার জন্যও প্রস্তুতি দরকার। অক্সিজেনের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে। কর্ণাটক সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু, সাধারণ মানুষকে সেই নিয়ম মানতে হবে। লকডাউন করলে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
ড: শাহিদ জামিল (দিল্লির বিশিষ্ট চিকিৎসক)
'লকডাউন করলে তা সঠিক প্রক্রিয়ায় করতে হবে। গতবারের লকডাউন থেকে আমরা শিক্ষা পেয়েছি। আগে সাধারণ মানুষের অন্নের সংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের উচিত মানুষের মনের মতো চলা, সরকার একটা কিছু চাপিয়ে দিলেই তো হবে না। আগে সব ঠিক করে লকডাউন করা যেতে পারে। আবার লকডাউন করলে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াও যাতে ক্ষতির মুখে না পড়ে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
মদন সাবনবিশ (অর্থনীতিবিদ)
'লকডাউন আগেও হয়েছে। কোনও কোনও দেশ ফের এই পথে যাচ্ছে। আসলে এছাড়া উপায়ও তো নেই। তবে লকডাউনের আগে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার। লকডাইন করোনার এই চেইন ভাঙতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস।'