৬৭ বছরের বৃদ্ধের লালসার শিকার হল ১৪ বছরের নাবালিকা। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনার গোপালনগর থানার নওদা গ্রামে। ভয় দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ওই নাবালিকা এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে।
গোপালনগর থানার নওদা গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল্লা মুন্সি মণ্ডল। বছর সাতষট্টির বৃদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী ১৪ বছরের নাতনি-সম এক নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে বৃদ্ধ একাধিকবার ভয় দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবে ভয়ে পেয়ে চুপচাপ থাকে বছর চোদ্দর কিশোরী।
পরবর্তীতে ওই নাবালিকা সন্তানসম্ভবা হয়ে পরে। যদিও প্রথম কিশোরীর মা ভেবেছিলেন মেয়ের পেটে কোনো সমস্যা হয়েছে। এর মধ্যে গত রবিবার বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই নাবালিকাকে। সন্ধ্যায় সে পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়।
ঘটনা জানাজানি হতেই সামনে আসে প্রতিবেশী বৃদ্ধ সাইফুল্লার নাম। রবিবার রাতে নবালিকার মা গোপালনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে সাইফুল্লাকে গ্রেফতার করে গোপালনগর থানার পুলিশ। সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে পকসো (Protection of Children from Sexual Offences, POCSO) আদালতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
ধৃত সাইফুল্লাকে সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠায় গোপালনগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।