আত্মহত্যা করেছিল মেয়ে। তার দেহ কবরস্থানে পুঁতে রাখার পর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ১০ বছর পর প্রকাশ্যে এল আসল তথ্য। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সেহোর (Sehore) জেলায়। (সেহোর থেকে নভেদ জাফরির রিপোর্ট)
১০ আগের ওই মামলার আসল সত্য প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে কবর খুঁড়ে দেহাবশেষ বের করে পরীক্ষার জন্য তা পাঠানো হয়েছে ভোপালে। মৃতার বাবা সহ মোট ৪ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে ২০১১ সালে মনখেড়া গ্রামের বাসিন্দা ইকরাম তার ১৭ বছরের মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ডায়েরি করে। ঘটনায় নাবালিকার বাবা মাকে যখন থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তখন তারা তদন্ত শেষ করে দেওয়ার কথা বলে। তাতেই পরিজনেদের ওপর সন্দেহ তীব্র হয় পুলিশের।
পুলিশের লাগাতার প্রশ্নের মুখে ভেঙে পড়ে নাবালিকার বাবা মা স্বীকার করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে তাদের মেয়ে এবং তাকে কবরস্থানে পুতে দেওয়া হয়েছে। এরপর সেই কবরস্থানের নির্দিষ্ট জায়গায় জেসিবি দিয়ে খুঁড়ে একটি দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ। সেটিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ভোপালে।
এই বিষয়ে টিআই মনোজ মিশ্র জানাচ্ছেন, নাবালিকার বাবা মা কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঘটনায় কোনও গুরুতর বিষয় লুকোনো হচ্ছে বলে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। জানা গেছে ২০১১ সালে প্রতিবেশী দুই যুবকের সঙ্গে ২ -৩ বার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। তারপর ভোপাল থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। এর জেরে বাড়িতে মারধরও করা হয় ওই নাবালিকাকে। অভিমানে বাড়িতে থাকা সালফাসের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করে সে। এরপর ওই দুই যুবককে বাড়িতে ডাকে নাবালিকার পরিবার। ওই দুই যুবকের জন্যই তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ তোলে তারা। মেয়ের মৃত্যুতে বদনামের আশঙ্কাও করে নাবালিকার পরিবার। এরপরেই রাতের অন্ধকারে পুঁতে দেওয়া হয় তার মৃতদেহ।