মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'সামাজিক বয়কট' করবেন বলে ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে জারি করা ভিডিওবার্তায় রাজ্যপাল বলেন,'আমি সংকল্প নিচ্ছি, মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিক বয়কট করব। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও সর্বজনীন মঞ্চে থাকব না। এমন কোনও কর্মসূচিতে থাকব না, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন'। তিনি জানান,'রাজ্যপাল হিসেবে শুধু সাংবিধানিক কর্তব্যই পালন করব। তার একটু বেশিও নয়, কমও নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেবল ঔপচারিক সম্পর্কই থাকবে'।
জুনিয়র ডাক্তাররা গত ৩২ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। এই সময়ের মধ্যে ২৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৭ লাখ মানুষ পরিষেবা পাননি। অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক্তারদের পরিষেবা সচল করারও অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আলোচনার জন্য আমি অনেক চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারলাম না। এরপরও আলোচনা চাইলে আধিকারিকরা করবে।'
আজ নিয়ে তিনি তিনদিন ধরে অপেক্ষা করেছেন। তারপরও জুনিয়র ডাক্তাররা এলেন না। অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মিটিং ডেকে যাঁরা এলেন না, গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেন তাঁদের তিনি ক্ষমা করে দিলেন।
লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি মানা হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিলেন না আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,'জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকেই আলোচনার জন্য রাজি ছিলেন না। বাইরে থেকে ২-৩ জনকে ফোন করে বলা হচ্ছিল, বৈঠকে যাবেন না। ওরা সুবিচার চায় না, চেয়ার চায়'। এরপরই মমতা জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তেও রাজি।
RG কর কাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Doctor Death Protest) বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালের অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (BJP)। তাদের এই অভিযান আটকানোর জন্য ধর্মতলায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে। সেখানে গেরুয়া শিবিরের মিছিল আটকে যাওয়ার পরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় সাড়ে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় সীমান্ত মাঝি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল রবিবার, যখন শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
RG Kar Case: জানা যাচ্ছে, কলকাতায় ৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এর মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা।
'জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন না বলে রাজ্যে রোগীমৃত্যু হচ্ছে, এটা তো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য। এই তথ্য আমরা বিশ্বাস করি না। এর আগে ডেঙ্গি নিয়েও তো ভুল তথ্য দিয়েছিল সরকার'। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়,'আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে আছি। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে গিয়েছে সরকারের জন্যই'।
বুধবারও জুনিয়ার ডাক্তারদের বৈঠকের জন্য ডেকেছিল রাজ্য সরকার। মেল পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। তবে জুনিয়ার ডাক্তাররা পাল্টা শর্ত দেন। এরপর বৈঠক আর হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন ডাক্তারদের সদিচ্ছা নিয়ে। জুনিয়ার ডাক্তাররা সমস্যার সমাধান চাইলে কেন শর্ত আরোপ করছেন? বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ৫ দফা দাবি সরকারের কাছে দিয়েছেন তাঁরা। সেই নিয়ে চলছে টানাটানি। নবান্নে বৈঠকের চেষ্টা হলেও সরকার শর্ত মানতে নারাজ। এদিকে, আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে এবার মিছিল করল ডাক্তারদের যৌথ মঞ্চ। ওই মিছিল থেকে দাবি,'জাস্টিস ফর আরজি কর'।
রাতভর চলেছে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ। তা সকালেও অব্যাহত। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে টানা অবস্থান করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরাতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার ইস্তফা দাবি করছেন।