নতুন ধরনের সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে এই ধরনের সাইবার ক্রাইম। ফাঁদে পা দিলেই ব্ল্যাকমেল ও তারপর গচ্ছা যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। মেসেঞ্জারে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে তারপর হোয়াটসঅ্যাপে আমন্ত্রণ। এরপর, ভিডিও কল করে স্ক্রিন রেকর্ড করে চলে অশ্লীল কাজ। সেই ফাঁদে পা দিলে ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়ে ব্যবহারকারীর কাছে টাকা দাবি। এভাবেই চলছে স্ক্যাম।
সাম্প্রতিককালে, এ নিয়ে অনেক ঘটনাই প্রকাশ্যে এসেছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী,দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের সঙ্গেও ঘটেছে এই ঘটনা। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর মতে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি অজানা কল পান।
ওপাশে একজন নগ্ন মেয়ে। কলটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আগেই সাইবার অপরাধীরা অধ্যাপকের ভিডিওও রেকর্ড করে ফেলে। এরপর শুরু হয় হয়রানি। সাইবার প্রতারকরা মেসেঞ্জারে ভিডিও কলের স্ক্রিনশট পাঠাতে শুরু করে।
ভয়ে ওই ব্যবহারকারীকে ব্লক করে দেন ব্যক্তি। ঘণ্টাখানেক পর অডিও কল আসে তাঁর কাছে। ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। ৫ মিনিটের মধ্যে সেই টাকা পাঠাতে বলা হয়।
টাকা না পেলে স্ক্রিনশট ফেসবুকে শেয়ার করেতা বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারকে দেখানোর হুমকি দেওয়া হয়। আতঙ্কে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন অধ্যাপক। যদিও, এর পরে আর কিছু ঘটেনি।
তবে শুধু দিল্লির অধ্যাপক নন। দেশজুড়ে প্রতিটি প্রান্তে এই হয়রানির শিকার হচ্ছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারে এই ধরনের ভিডিও কল স্ক্যাম সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এদের একটি চক্র রয়েছে। এই ধরনের হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের পরে, তারা মানুষের কাছে টাকা দাবি করে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই গ্যাংগুলি হরিয়ানার মেওয়াত থেকে কাজ করে। এছাড়াও, তাদের গ্যাং সদস্যরা ভিওয়াড়ি, তিজারা, কিশানগড়, রামগড়, লক্ষ্মণগড় এবং গোবিন্দগড়ের মতো এলাকায় ছড়িয়ে আছে।