বিহারের লক্ষীসরাইয়ে অবৈধ সম্পর্কের জেরে খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। ওই এলাকার বাসিন্দা এক মহিলার স্বামী কয়েক মাস ধরে ঘরের কাজে বাইরে ছিলেন। এরই মধ্যে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে আরেক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, ওই মহিলার স্বামী তার স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছেন। এর পর যা ঘটল তা চমকে দেওয়ার মতো। (ইনপুট- বিনোদ কুমার গুপ্ত)
ঘটনাটি লক্ষীসরাই জেলার মেদনিচক থানার ঋষি পাহাড়পুর গ্রামের। কয়েকদিন আগে গ্রাম থেকে এক যুবক নিখোঁজ হয়। থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়। (সব ছবি প্রতীকী)
বুধবার নদী থেকে রোহিত নামে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরে জানা যায়, ওই গ্রামেরই এক মহিলার সঙ্গে মৃত যুবকের অবৈধ সম্পর্ক ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পুরান পাসওয়ান পাটনায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন এবং তিনি বাড়ির বাইরে বেশি সময় থাকতেন। তখনই পাশের গ্রামের যুবক রোহিত যাদবের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক হয়।
৩১ ডিসেম্বর গভীর রাতে পাটনা থেকে ফিরে আসেন পুরান পাসওয়ান। রোহিতের সঙ্গে অশালীন অবস্থায় স্ত্রীকে ধরে ফেলে তিনি।
পাসওয়ান স্ত্রীকে কিছু না বললেও রাগের মাথায় কুড়াল দিয়ে রোহিত যাদবকে খুন করে লাশ নদীতে ফেলে দেন। মৃতদেহ লোপাটে অভিযুক্তের স্ত্রীকে সাহায্য করে।
রোহিতের নিখোঁজের খবর পেয়ে পুলিশ একটি বিশেষ দল গঠন করে। ফোন কলের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে যে পিঙ্কি দেবী নামে এক বধূর সঙ্গে মৃতের শেষ কথা হয়েছিল।
পিঙ্কি দেবীর মুখ খুলতেই পুলিশ পাটনা থেকে পুরন পাসওয়ানকেও গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, পুরান পাসওয়ান এবং পিঙ্কি দেবী মিলে রোহিত যাদবকে খুন করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন।
রোহিত ৩১শে ডিসেম্বর নিখোঁজ হন এবং ৩ জানুয়ারি নিখোঁজে পরিবার মামলা দায়ের করে। এসডিআরএফ দলের সহায়তায়, পুলিশ রোহিতের দেহ নদী থেকে বের করে।