নিজের ছাত্রীদের ধর্ষণ এবং জোর করে যৌন ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের পিলিভীতে এক মহিলা কলেজের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় ওই শিক্ষকের স্ত্রী তাকে এই কাজে মদত দিত বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি বেশ কিছু ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম কামরান আলম। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ভয় দেখানো এবং শ্লীলতাহানির ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ, কামরান ওই কলেজের বহু ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। ওই ছাত্রীদের সঙ্গে সেক্স টয় নিয়েও কথা বলত সে। পাশাপাশি কাউকে এই বিষয়ে না বলার জন্য হুমকিও দিত বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, অভিযোগ, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের জোর করে ভয় দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় নামাত। এই কাজে মদত দিত তার স্ত্রী।
অভিযোগ উঠেছে যে কামরানের সঙ্গে স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও এই কাজে জড়িত ছিল। তাদের মদতেই চলত সেক্স ব়্যাকেট।
তবে কলেজ প্রশাসনের ভূমিকা সন্দেহজনক। কারণ ওই কলেজে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৫০। কিন্তু কোনও মহিলা কর্মী নেই।
সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয়, নির্যাতিতা ছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজের বেশ কিছু ছাত্রী কামরানের সঙ্গে এই কাজে নিজে থেকে জড়িত ছিল।
ইতিমধ্যে বিষয়টি সামনেই আসতে কড়া হয়েছে প্রশাসন। ওই কলেজের বেশ কিছু ঘর সিল করা হয়েছে।
অভিযুক্তকে শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এফআইআরের পরেও অধ্যাপককে গ্রেফতার না করায় হিন্দু সংগঠনগুলি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।
হিন্দু সংগঠনগুলোর দাবি, পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টির গভীরে গিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।