বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ঝাড়খন্ডের জামতাড়ার একটি খুনের মামলা সামনে এল। জানা গিয়েছে ঝাড়খন্ডের এক ট্রাক খালাসির স্ত্রী চালকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যার জেরে বিহারের বাঁকা জেলার বাসিন্দা ওই ট্রাক চালককে হত্যার ছক কষে খালাসি। নাসিকে করা হয় হত্যার পরিকল্পনা। এরপর কলকাতায় ওই চালককে হত্যা করা হয়। সব শেষে ঝাড়খন্ডে নিয়ে গিয়ে ফেলা হয় দেহ।
পুলিশ জানাচ্ছে, কলকাতার একটি পার্কিং-এ ট্রাক চালককে খুন করে ওই খালাসি। তারপর দেহ ট্রাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে। ইতিমধ্যেই দেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। যার জেরে ঝাড়খন্ডের পথে জামতাড়ায় রাস্তার ধারে দেহ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় সে।
দেহটি রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। একইসঙ্গে শুরু করে তদন্ত। কিছুদিন পরে মৃতের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। জানা যায় নিহতের নাম বিজয় কুমার ওরফে আকাশ যাদব। বাড়ি বিহারের বাঁকা জেলার ভেলওয়া গ্রামে।
তদন্তে নেমে পুলিশ নিহতের পরিচয় জানার পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের খবরও পায়।
দেহের শেষকৃত্যের পর তদন্তে নামে পুলিশ। অপরাধীকে খুঁজে বের করতে নির্দিষ্ট টিম গঠন করেন এসপি দীপক কুমার সিনহা। গোটা বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় পুলিশের সামনে।
নিহতের ছবি বিভিন্ন জায়াগায় পাঠায় পুলিশ। ধনাবাদের একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপেও তা পাঠান হয়। তারপরেই প্রথম ফোন যায় মিহিজাম থানায়। এরপর খবর যায় জামতাড়া থানার পুলিশের কাছেও। তারপরেই আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে তদন্তকারী দল, বাঁকা থেকে ডেকে পাঠানো হয় মৃতের পরিজনদের।
ছবি দেখে নিহতকে সনাক্ত করার পাশাপাশি, নিহতের পরিজনেরা ট্রাকের চালক বিজয় এবং সহচালক রবীন্দ্র যাদবের বিষয়ে তথ্য দেন পুলিশকে। এরপর পুলিশ জানতে পারে রবীন্দ্র উত্তরপ্রদেশের বালিয়াতে লুকিয়ে রয়েছে। তারপরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও খুনে ব্যবহৃত রডটি বাজেয়াপ্ত করে
পুলিশ জানায় রবীন্দ্রর স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিজয়ের। বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রীকে অনেক বোঝায় রবীন্দ্র। কিন্তু দুজনের মেলামেশা চলতেই থাকে। তারপরেই বিজয়কে খুনের ছক কষে রবীন্দ্র।
এরপর একদিন ট্রাক নিয়ে নাসিক থেকে কলকাতায় আসার পর সুযোগ বুঝে রড দিয়ে মেরে বিজয়কে খুন করে রবীন্দ্র। তারপর তার লাশ জামতাড়ার সাতসালের কাছে ফেলে দেয়।