সম্পত্তি হাতাতে বয়স্ক ব্যক্তিকে বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই খুন যুবতীর, হাড়হিম ঘটনা

১৮ বিঘা জমি হাতাতে বয়স্ক ব্যক্তিকে বিয়ে। তারপর তাঁকে খুন করল যুবতী। চাঞ্চল্যকর ঘটনা উত্তরপ্রদেশের। মৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্র কুমার তিওয়ারী (৪৫)। তাঁর বাড়ি্ মধ্যপ্রদেশ। অভিযুক্ত সাহিবা বানোকে বিয়ে করার জন্য উত্তরপ্রদেশ আসেন তিনি।

Advertisement
সম্পত্তি হাতাতে বয়স্ক ব্যক্তিকে বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই খুন যুবতীর, হাড়হিম ঘটনাNewly Wed Wife Murdered His Husband
হাইলাইটস
  • ১৮ বিঘা জমি হাতাতে বয়স্ক ব্যক্তিকে বিয়ে
  • তারপর তাঁকে খুন করল যুবতী

১৮ বিঘা জমি হাতাতে বয়স্ক ব্যক্তিকে বিয়ে। তারপর তাঁকে খুন করল যুবতী। চাঞ্চল্যকর ঘটনা উত্তরপ্রদেশের। মৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্র কুমার তিওয়ারী (৪৫)। তাঁর বাড়ি্ মধ্যপ্রদেশ। অভিযুক্ত সাহিবা বানোকে বিয়ে করার জন্য উত্তরপ্রদেশ আসেন তিনি। সাত পাকে বাঁধা পড়েন। তারপরই স্ত্রী-র হাতে খুন হন। যদিও নিজের পরিচয় গোপন করে ইন্দ্র কুমারকে বিয়ে করেছিলেন সাহিবা। নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। নিজের নতুন নাম রেখেছিলেন খুশি।  

ঘটনার সূত্রপাত একটি ভিডিওকে ঘিরে। গোরক্ষপুরের সাহিবা বানো রিল স্ক্রল করছিলেন। তার চোখ আটকে যায় একটি ভিডিওতে। সেখানে দেখেন, ইন্দ্র কুমার নামে ওই ব্যক্তি এক স্বঘোষিত বাবা-কে বলছেন, 'আমি তো অবিবাহিত মহারাজ। আমার সম্পত্তি আছে। ১৮ বিঘা জমি আছে। কিন্তু আমার বংশের প্রদীপ কে জ্বালিয়ে রাখবে?' এই ভিডিও দেখার পরই সাহিবা মনস্থির করে নেয় ইন্দ্র কুমারের জমি দখল করার।

সেজন্য প্রথমেই সে বন্ধুত্ব পাতায় মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা ইন্দ্র কুমারের সঙ্গে। তারপর জাল আধার কার্ড বানিয়ে সাহিবা হয়ে যায় খুশি তিওয়ারি। প্রেমের জালে ফাঁসায় ওই ইন্দ্রকে। এতে ওই ব্যক্তি জীবনে নতুন আশা পান। খুশিকে বিয়ে করার জন্য মধ্যপ্রদেশ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দুরে গোরক্ষপুরে চলে আসেন। 

গোরক্ষপুরের এক মন্দিরে খুশিকে বিয়ে করেন ইন্দ্র। তখনও ইন্দ্র জানতেন না, তাঁর সম্পত্তি হাতানোর জন্য সাহিবা খুশি সেজে তাঁকে বিয়ে করেছে। এদিকে বিয়ে হয়ে যাওয়া মাত্র নিজের আসল রূপ ধরে সাহিবা। মাত্র  কয়েক ঘন্টা পর দুই সঙ্গীকে নিয়ে খুন করে ইন্দ্রকে খুন করে সে। মৃতদেহ কুশিনগরের হাটা থানা এলাকার একটি ড্রেনের কাছে ফেলে দেয়। 

 গত ৬ জুন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ একটি অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ খুঁজে পায়। বেশ কয়েকদিন পর পুলিশ জানতে পার, খুন হওয়া ব্যক্তির বাড়ি মধ্যপ্রদেশ। তদন্ত শুরু হয়। ইন্দ্র কুমারের সোশ্যাল মিডিয়া, কল ডিটেলসে নজরদারি চালিয়ে সাহিবা বানোর নাম সামনে আসে। তাদের আটক করা হয়। এরপরই একের পর এক ঘটনা সামনে আসতে থাকে। 

Advertisement

তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সাহিবা বিবাহিত। কুশল নামে এক যুবকের সঙ্গে আগেই বিয়ে হয়েছিল তার। পুলিশের সন্দেহ, খুনের পর সাহিবা নিজেকে ইন্দ্রের বিধবা পরিচয় দিয়ে জমি দাবি করার ফন্দি আঁটছিল। এখন পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, সাহিবা এই প্রথম এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে না কি আরও এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।  পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই যুবতী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। 

POST A COMMENT
Advertisement