scorecardresearch
 

Chakdaha Crime: চাকদায় খুন যুবতী, বিধবা মায়ের পরকীয়ায় বাধার খেসারত?

একেবারে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। মায়ের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় খুন হতে হল একা অষ্টাদশী। তাঁকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে মায়ের প্রেমিক সুজিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরেই এখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার চাকদায়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি

একেবারে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। মায়ের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় খুন হতে হল একা অষ্টাদশী। তাঁকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে মায়ের প্রেমিক সুজিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরেই এখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার চাকদায়

মৃত স্কুলছাত্রীর নাম  লিপিকা মণ্ডল। নদিয়ার চাকদা ব্লকের দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন লিপিকা। চাকদহ বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন তিনি। বুধবার ওই এলাকারই একটি চাষজমি থেকে লিপিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মেয়েটির মায়ের প্রেমিক সুজিত বিশ্বাসই এই খুনের সঙ্গে জড়িত। সর্ষে খেতে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে।  মৃত ওই ছাত্রীর পরিবার ইতিমধ্যে  থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। লিপিকার  মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে তার প্রেমিক আপাতত ফেরার। 

কয়েক বছর আগে লিপিকার বাবা আত্মহত্যা করেছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তারপর থেকেই লিপিকার মা সুন্দরী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পাড়াপড়শিদের দাবি, লিপিকার মায়ের চরিত্র নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই আত্মহত্যার করে লিপিকার বাবা। পরবর্তীকালে লিপিকার মা সুন্দরী মণ্ডল স্থানীয় এক যুবক সুজিতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই যুবক পেশায় সব্জি বিক্রেতা।  লিপিকা তার মায়ের এই সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেনি। একারণে দু’জনের মধ্যে একাধিকবার কথা কাটাকাটিও হয়েছে। মাকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিল লিপিকা। এদিকে, মেয়ে তাঁদের প্রেমের মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ানোয় লিপিকার উপর রাগ হয় সুজিতের। পথের কাঁটাকে সরাতে চেয়েছিল সে। অভিযোগ, তার বন্ধুদের নাকি সে একথা জানিয়েছিল। বলেছিল, এ কারণে প্রয়োজনে জেল খাটতে হলেও সে খাটবে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বুধবার দুপুরে  মেয়ে লিপিকাকে নিয়ে তাঁর মা মাঠে যান সর্ষের খেতে কাজ করতে। সেই সময় বাড়ির কাছে একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন কয়েকজন। মাঠ থেকে হঠাৎ চিৎকার শুনতে পেয়ে তাঁরা দৌড়ে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন লিপিকা। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে। এমনকী, ডান হাতের কব্জিও আলাদা করে দিয়েছে আততায়ী। পুলিশ এসে দেহ  উদ্ধার করে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি লিপিকাকে। কল্যাণী পুলিশ মর্গে তাঁর ময়নাতদন্ত হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত  সুজিত পলাতক। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে লিপিকার মা সুন্দরী মণ্ডলকে। এই খুনের ঘটনা পরিকল্পিত, নাকি উত্তেজনার বশে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিশ।  
 

Advertisement

 
 

 

 

Advertisement