Cow Smuggler Attack Mekhliganj: চাষের জমি দিয়ে নিয়মিত গোরু নিয়ে যায় পাচারকারীরা। চাষ করা জমি নষ্ট হয়.হয়ে যায়। তাই জমি বাঁচাতে জমিমালিকরা রাতে পাহারার বন্দোবস্ত করেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে পাহারা দেওয়ার সময় এরকম তিনটি গরু আটক করেন তাঁরা। বুধবার সকালে গরুগুলি পুলিশে দিয়ে দেওয়া হয়। আর তারপর থেকেই হুমকি দিতে থাকে পাচারকারীরা। একে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। আর তার জেরে মৃত্যু হল এক মহিলার।
অভিযোগ, বছর ৫৬-র সাহেবা বিবিকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে গোরু পাচারকারীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পরিবারে দাবি, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ স্থানীয় আলতাফ হোসেন, মোজাফর হোসেন এবং সিপাই মহম্মদ তাঁদের উপর আক্রমণ করেন। তাঁর মা সাহেবা বিবির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং স্ত্রীকেও মারধর করে। চিকিৎসার জন্য তাঁদের মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয় এলাকায়। মেখলিগঞ্জ থানা সূত্রে খবর, মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন আলতাফ হোসেন ও সিপাই মহম্মদকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত। পুলিশ-প্রশাসনকে পাচার বন্ধ করতে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের একাংশ। নিয়মিত পাচার চলছে। পুলিশ আগেই পদক্ষেপ করলে এই ঘটনা ঘটত না বলে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ফতেমা বিবির স্বামী মহম্মদ দুলালও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। পুলিশ সক্রিয় থাকলে এরকম ঘটনা ঘটত না বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গরু নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের জেরে দু’পক্ষের দুজন করে আহত হয়েছে। দু’তরফেই থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।