scorecardresearch
 

বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই ভুয়ো IAS অফিসারের ভেক দেবাঞ্জনের

বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই নকল আইএএস অফিসার সেজে কারবার চালাচ্ছিল কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। পুলিশি জেরাই এমনটাই স্বীকার করেছে সে। পরিবারের স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হয়ে তাবড় আইএএস অথবা ডবলুবিসিএস অফিসার হবে। পরিবারের ইচ্ছেমতো সেই স্বপ্নেই ডুব দিয়েছিল আনন্দপুর থানা এলাকার মাদুরদহের বাসিন্দা দেবাঞ্জন। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করেছিল সে।

Advertisement
ভ্যাকসিন কাণ্ডের অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব ভ্যাকসিন কাণ্ডের অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব
হাইলাইটস
  • বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই ভুয়ো IAS অফিসারের ভেক দেবাঞ্জনের
  • পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর
  • কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে অন্যতম নায়ক দেবাঞ্জন

বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই নকল আইএএস অফিসার সেজে কারবার চালাচ্ছিল কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। পুলিশি জেরাই এমনটাই স্বীকার করেছে সে। পরিবারের স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হয়ে তাবড় আইএএস অথবা ডবলুবিসিএস অফিসার হবে। পরিবারের ইচ্ছেমতো সেই স্বপ্নেই ডুব দিয়েছিল আনন্দপুর থানা এলাকার মাদুরদহের বাসিন্দা দেবাঞ্জন। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করেছিল সে। একবার আইএএস পরীক্ষায় দিলেও প্রিলিমস পর্ব উতরাতে পারিনি সে। অথচ তার বাবা ততদিনে ছেলেকে বড় আইএএস অফিসারের চোখে দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। তাই নিজে হাতে বাবার স্বপ্ন ভঙ্গ করতে চায়নি ছেলে। পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করতেই বাড়িতে মিথ্যা কথা বলে ফেলে দেবাঞ্জন।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রিলিমসে পাস না করলেও পরিবারকে সে জানিয়েছিল যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এর কয়েক মাস পরেই পরিবার জেনে যায় বাড়ির ছেলে আইএএস হয়েছেন। হাওয়ার বেগে এই খুশির খবর পরিবার থেকে ছড়িয়ে পড়ে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে। সেই থেকেই পাড়ার সকলে জানতো, ২১৮ নং হোসেনপুর ঠিকানার এই তিনতলা বাড়ির ছেলে এখন বড় আইএএস অফিসার। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জেরার মুখে এমনটাই স্বীকার করেছে দেবাঞ্জন। 

পুলিশ সূত্রে খবর, আইএস পরিচয় অসংখ্য সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিল সে। পাড়ার রক্তদান শিবির থেকে শুরু করে থানার সামাজিক অনুষ্ঠান বা স্থানীয় কাউন্সিলর এর অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগদান করেছিল দেবাঞ্জন। সে সমস্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিরাট সম্মানকে পেয়ে আরও উৎসাহ পেয়ে যায় দেবাঞ্জন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাইনি সে। 

ভুয়ো পরিচয় ভাঙিয়ে প্রভাবশালী মহল থেকে শুরু করে পুলিশ- প্রশাসন, কলকাতা পুরসভা বা শাসকদলের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করে অভিযুক্ত। নিজের বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনের জন্য সমাজসেবাও শুরু করে সে। বিনামূল্যে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি দেবাঞ্জন দেব। এই ভাবেই এক সময় ভ্যক্সিনও দিতে শুরু করে পৌরসভার যুগ্ম কমিশনার পরিচয় দেওয়া এই প্রতারক। 

Advertisement

কিন্তু কোথা থেকে এলো এতো টাকা? পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে ৩টি ব্যাঙ্ক একাউন্টের তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। তার মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কলকাতা পুরসভার নামে কারেন্ট একাউন্ট খোলা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কসবার বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীকে কমিউনিটি হল তৈরী করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই একাউন্টের মাধ্যমেই ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছিল ধৃত। ওই ব্যবসায়ী ছাড়াও বেহালার একজনের থেকে পুরসভার বরাত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে  জন্য  ১০ লাখ টাকা নিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। শুক্রবার লালবাজার জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা জোট গঠন করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে। ডিসি ডিডি (৪) এর নেতৃত্বে এই বিশেষ তদন্তকারী দল এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখবে।

Advertisement