সংসারে কোনও খরচ না দেওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের জেরে স্ত্রীকে পেটে লাথি ও শ্বাসরোধ করে খুন। খুনের অভিযোগ স্বামী শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে।
স্বামী সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচল থানার ধানগাড়া এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির তরফ থেকে চাঁচল থানায় স্বামী সহ পাঁচজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সাত বছর ধরে সংসার
জানা গিয়েছে মৃত গৃহবধুর নাম মতাম্বারা খাতুন(২৬)। মৃতার পরিবারের সদস্যরা জানান, খুন হওয়া যুবতীর বাড়ি চাঁচল ২ নং ব্লকের ধানগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতেয়ের বালুয়াঘাট এলাকায়। সাত বছর আগে ধানগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রণঘাট এলাকার যুবক আকবর আলির সঙ্গে বিবাহ হয় তার। পেশায় শ্রমিক।
স্বামীর মদ্য়পান ও খরচ না দেওয়া নিয়ে অশান্তি
অভিযুক্ত যুবক রোজ মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরত বলে অভিযোগ। কাজ করলেও অভাবের সংসারে কোনও খরচ দিত না। যার ফলে বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি লেগেই থাকত। প্রতিবাদ করলে এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শাশুড়ি ও ননদ মতাম্বারার উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতো। প্রতিবেশিরা অনেকেই জানে সে কথা।
মারধর, লাথি, শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ
ঘটনার দিনও অশান্তি শুরু হয়। নির্যাতিতার পেটে লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে শাশুড়ি ননদ এবং জামাই বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে চাঁচল থানায় পাঁচজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামী সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।