scorecardresearch
 

Burdwan University: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে মারাত্মক দুর্নীতি? উধাও প্রায় ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা

অ্যাকাউন্টে হদিশ নেই প্রায় ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স অফিসার ও রেজিস্ট্রারের সই নকল করে ওই টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। রীতিমতো বিড়ম্বনায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা। 

Advertisement
Burdwan University Burdwan University
হাইলাইটস
  • এই রকম অতীতেও ঘটেছে
  • ঠিক কী ঘটেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে?
  • রেজিস্ট্রার ও ফাইনান্স অফিসারের সই জাল

বড়সড় দুর্নীর্তির অভিযোগ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (Burdwan University)। সই জাল করে স্থায়ী আমানতের টাকা ভেঙে অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের মতো গুরুতর অভিযোগ। অ্যাকাউন্টে হদিশ নেই প্রায় ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স অফিসার ও রেজিস্ট্রারের সই নকল করে ওই টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। রীতিমতো বিড়ম্বনায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা। 

এই রকম অতীতেও ঘটেছে

একাধিক বাংলা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সই জাল করে ফিক্স্ড ডিপোজিট ভেঙে অন্য অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে।  একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। এই রকম অতীতেও ঘটেছে। আগেও একই কায়দায় ফিক্সড ডিপোজিটের ভেঙে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার জন্য অন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন

ঠিক কী ঘটেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে?

অভিযোগ, জাল সই খতিয়ে দেখেনি ব্যাঙ্ক। অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অমান্য করে ফিক্ড ডিপোজিটের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে কেন দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ব্যাঙ্ককে চিঠি দিয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স ডিপার্টমেন্টের কেউ জড়িয়ে বলে সন্দেহ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরী বলেছেন, 'ব্যাঙ্ক কী ভাবে টাকা দিল সেটাই বুঝতে পারছি না। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হবে।'  ২০২২ সালে তিনটি পর্যায়ে কল্যাণীর একটি বেসরকারি এজেন্সির অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা মতো পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

রেজিস্ট্রার ও ফাইনান্স অফিসারের সই জাল

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লেটার হেড’-এ দেওয়া চিঠি একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে জমা পড়ে। সেখানে একটি এজেন্সির অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। ব্যাঙ্কের কর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন,রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরী ও ফাইনান্স অফিসার সৌগত চক্রবর্তীর সই জাল করে ব্যাঙ্কে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ওই শাখার সিনিয়র ম্যানেজার বর্ধমান থানায় অর্থ দফতরের দুই কর্মীর নামে এফআইআর দায়ের করেন। 
 

Advertisement

Advertisement