গ্রেফতার হওয়া চিনা নাগরিক হান জুনেইকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করল এসটিএফ। বৃহস্পতিবার তাকে মালদার মিলিকসুলতানপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কী করে ভারতে এল, সে ব্য়াপারে আরও তথ্য জানতে এই ব্যবস্থা।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত এই চিনা নাগরিক ভারতের বেশ কিছু জায়গায় গিয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, হায়দ্রাবাদ-সহ আরও কিছু প্রান্ত। ভারতীয় ভাষা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল সে।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়ানোর সূত্রে ভারতীয় ভাষা এবং খাদ্যাভাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তিনি। ভারতবর্ষের বেশ কিছু রাজ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করত সে।
ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের একাধিক পদস্থ কর্তা দফায় দফায় জেরা করেছেন হানকে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ধৃত হানের সঙ্গে চিনের সেনাবাহিনীর যোগের একটা প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সেনা প্রশিক্ষণও দেওয়া রয়েছে তাকে।
সম্ভবত তার কারণ এই দফায় দফায় জেরা করা হলেও ভেঙে পড়ছেন না তিনি। এসটিএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেরায় শরীরে হাত দিতে বাধা দেন হান, তল্লাশিতে ও বাধা দেওয়া হয়। তার শরীরে মাইক্রোচিপ লুকোনো থাকতে পারে বলে ধারণা গোয়েন্দা সংস্থার।
তার শরীরে সিটিস্ক্যান করানো ছাড়াও, তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করার চেষ্টা করা হবে। এদিকে, মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গ্রেফতার হওয়া চিনা নাগরিক হান জুনেইকে ১০ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মালদা জেলা আদালত।
মঙ্গলবার থেকে হানের তদন্তভার নিয়েছে এসটিএফ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই হানকে নিয়ে তদন্তের স্বার্থে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে জেরা করবে এসটিএফ। ইতিমধ্যে হানকে ঘিরে ক্রমশই রহস্যের দানা বাধছে।
আর্থিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে হান জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। ইতিমধ্যে তাকে জেরা করেছে এনআইএ, বিএসএফ, উত্তরপ্রদেশের এটিএস। জানা যাচ্ছে, ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ওই চিনা নাগরিক গাইড ব্যবহার করছিল।
ওই চিনা নাগরিকের গাউড কে ছিল, তার খোঁজ শুরু হয়েছে। পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ধারণা, সম্ভবত মরা ভাগীরথী নদী দিয়ে ওই চিনা নাগরিক ভারতে প্রবেশ করেছে। তবে এখন বৃষ্টি হওয়ায় নদীতে যথেষ্ট জল আছে। ফলে নদী পার করার জন্য নির্দিষ্ট গাইড তাঁর ছিল বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
ওই চিনা নাগরিক এ দেশ থেকে কয়েকশো সিম কার্ড চীনে পাচার করেছে বলে খবর। আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে সে যুক্ত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।