Aftab amin Poonawalla: রাতে শ্রদ্ধার দেহ পিস করে ফ্রিজে রাখত আফতাব, দিনে অন্য মেয়ের সঙ্গে চ্যাট

আফতাব ও শ্রদ্ধার কমন ফ্রেন্ডকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় শুধুমাত্র ইংরেজিতেই কথা বলছে আফতাব। বলেছে, 'Yes, I killed her'। কিন্তু জেরা যত এগোচ্ছে, ততটাই হাড় হিম করা সব তথ্য উঠে আসছে।

Advertisement
রাতে শ্রদ্ধার দেহ পিস করত আফতাব, দিনে অন্য মেয়ের সঙ্গে চ্যাট আফতাব ও শ্রদ্ধা
হাইলাইটস
  • ১৮ মে খুন, ৩ মাস ধরে লাশ ফ্রিজে
  • শ্রদ্ধাকে খুনের পরেই নতুন গার্লফ্রেন্ড
  • বুকের উপর বসে গলা টিপেছিল

Aftab amin poonawalla and Shraddha: দিল্লিতে বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। প্রতিদিন মাঝরাতে সেই দেহাংশ ঝোপঝাড়ে গিয়ে ফেলে আসত সে। ইতিমধ্যেই পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে আফতাব। গোটা দেশ শিউরে উঠেছে আফতাবের নৃশংসতায়। 

আফতাব ও শ্রদ্ধার কমন ফ্রেন্ডকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় শুধুমাত্র ইংরেজিতেই কথা বলছে আফতাব। বলেছে, 'Yes, I killed her'। কিন্তু জেরা যত এগোচ্ছে, ততটাই হাড় হিম করা সব তথ্য উঠে আসছে।

১৮ মে খুন, ৩ মাস ধরে লাশ ফ্রিজে

পুলিশকে আফতাব জানিয়েছে, ১৮ মে বান্ধবী শ্রদ্ধাকে সে গলা টিপে খুন করে। তারপর তিন মাস ধরে লাশ পিস পিস করে কেটে প্রতিদিন মাঝরাতে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ঝোপঝাড়ে ফেলে আসে। শ্রদ্ধাকে খুনের দু মাস পর সে আবার ডেটিং অ্যাপে অ্যাক্টিভ হয়। সেখানে আরও একটি মেয়ের সঙ্গে চ্যাট শুরু করে সে।

আফতাব পুনাওয়ালা ও শ্রদ্ধা
আফতাব পুনাওয়ালা ও শ্রদ্ধা

শ্রদ্ধাকে খুনের পরেই নতুন গার্লফ্রেন্ড

মে, জুন, জুলাই মাস ধরে শ্রদ্ধার দেহ পিস করেছে সে। বাকি সময় ডেটিং অ্যাপে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে চ্য়াট করত। ফ্রিজে ছিল শ্রদ্ধার লাশ। এদিকে নতুন গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ডেটিংয়ের প্ল্যান চলত আফতাবের।

আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার দেহ পিস করে এই ফ্রিজে রেখেছিল আফতাব, পরে শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিল

ছবিটি ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত
ছবিটি ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত

বুকের উপর বসে গলা টিপেছিল

পুলিশকে আফতাব জানিয়েছে, ওই দিন শ্রদ্ধার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। ঝগড়া চলাকালীনই শ্রদ্ধার বুকের উপর বসে আফতাব। তারপর গলা টিপে খুন করে। দেহ ফ্রিজে রেখে দেয়। পরের দিন ইলেক্ট্রিক করাত কিনে আনে। দেহ টুকরো করা শুরু করে। এরপর সে ইন্টারনেটে সার্চ করে, কীভাবে খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে হয়।

ট্রেনিং নিয়েছিল আফতাব

জানা গিয়েছে, বাজার থেকে সে অ্যাসিড কিনে এনেছিল। সেই বিশেষ অ্যাসিড দিয়ে ধুলে নাকি DNA নমুনাও মেলে না। শ্রদ্ধা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ অ্যাক্টিভ থাকতেন। তাই ওই তিন মাস ধরে শ্রদ্ধার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভ রেখেছিল আফতাব।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement