Mumbai Couple: খুনটি হয়েছিল ৫ মাস আগে। দিল্লি পুলিশ অবশেষে সেই খুনের কিনারা করল। বিয়ের টোপ দিয়ে মুম্বইয়ে কল সেন্টারে মহিলা সহকর্মী শ্রদ্ধা বাকার (Shraddha) নিয়ে দিল্লি যায় আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawalla)। এরপর শুরু করে লিভ -ইন। শ্রদ্ধার একটা সময় সন্দেহ হয়। শুধুই যৌন সম্পর্ক চলছে, বিয়ের কোনও কথাই হচ্ছে না। শ্রদ্ধা বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। আফতাব শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ পিস পিস করে কেটে সেটি ব্যাগে ভরে দিল্লি নিয়ে আসে। তারপর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় সেই দেহাংশগুলি ফিলে দেয়। তার আগে দেহাংশগুলি ফ্রিজেই রেখেছিল আফতাব। টানা ১৬ দিন ফ্রিজে ছিল দেহাংশগুলি। আফতাবের এই কীর্তি এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে চর্চিত অপরাধ।
আফতাব ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক মানেনি শ্রদ্ধার পরিবার
৫ মাস পর গ্রেফতার হয়েছে আফতাব। গত ৮ নভেম্বর দিল্লিতে শ্রদ্ধার বাবা বিকান মদান বাকর মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি জানান, তাঁরা পরিবার সহ মহারাষ্ট্রের পালঘরে থাকেন। তাঁর ২৬ বছরের মেয়ে শ্রদ্ধা মুম্বইয়ে একটি বহুজাতিক সংস্থার কল সেন্টারে চাকরি করে। সেখানেই আফতাবের সঙ্গে শ্রদ্ধার পরিচয় হয়। তাঁরা আফতাব ও শ্রদ্ধার প্রেমের সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিলেন।
শ্রদ্ধা ও আফতাব হঠাত্ মুম্বই ছেড়ে চলে যায়
শ্রদ্ধার বাবা জানান, শ্রদ্ধা ও আফতাব হঠাত্ মুম্বই ছেড়ে চলে যায়। পরে জানতে পারেন, দিল্লির মহরৌলিতে রয়েছে। মেয়ের খবর মাঝে মাঝেই পেতেন। কিন্তু মে মাস থেকে আর কোনও খবর পাচ্ছিলেন না। ফোনও নট রিচেবল। এরপরেই তিনি দিল্লি যান। যে ফ্ল্যাটে শ্রদ্ধা আর আফতাব থাকছিল, সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন, তালা ঝুলছে। তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ঝোপঝাড় থেকে মিলেছে কিছু হাড়
আফতাবকে জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, বিয়ে নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকতো। শ্রদ্ধা বিয়ের জন্য চাপ দিত। তাই রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে কুপিয়ে খুন করে সে গত ১৮ মে। তারপর সেই লাশ পিস পিস করে কাটে। তারপর একটি ব্যাগে ভরে সেগুলি দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ফেলে আসে। শ্রদ্ধার দেহের কিছু হাড় পুলিশ ঝোপঝাড় থেকে উদ্ধার করেছে আফতাবকে জেরা করে।
আরও পড়ুন: তন্ত্র-ধর্ষণ-নরবলি, মেয়েদের ছটফটানি-গোঙানি-চিত্কার দেখে খুশি হত ওরা