scorecardresearch
 

'আমার মুখাগ্নি যেন স্বামী না করেন', আত্মহত্যা নোটে লিখলেন বীতশ্রদ্ধ স্ত্রী

স্বামীর থেকে এ জনমে মুক্তি পেতে আত্মহত্যাকেই বেছে নিলেন ইন্দোরের এক মহিলা। তবে কতটা ঘৃণা নিয়ে সাত জন্মের কথা রাখতে পারছেন না, তা লিখে গেলেন নিজের সুইসাইড নোটটিতে। নিজেকে মুক্তি দিতে এই পথ বেছেছেন তা খোলসা করেছেন মহিলা৷ 

Advertisement
আদালতে ওঠে ডিভোর্সের মামলা। আদালতে ওঠে ডিভোর্সের মামলা।
হাইলাইটস
  • স্বামীর থেকে এ জনমে মুক্তি পেতে আত্মহত্যাকেই বেছে নিলেন ইন্দোরের এক মহিলা
  • নিজেকে মুক্তি দিতে এই পথ বেছেছেন তা খোলসা করেছেন মহিলা
  • ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মহিলার দেহ দেখতে পেয়ে পরিবারের তরফেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে

বিয়ের সময় কথা দিয়েছিলেন একে অপরের সঙ্গে সাত জন্ম থাকবেন৷ কিন্তু 'কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখেনা'। স্বামীর থেকে এ জনমে মুক্তি পেতে আত্মহত্যাকেই বেছে নিলেন ইন্দোরের এক মহিলা। তবে কতটা ঘৃণা নিয়ে সাত জন্মের কথা রাখতে পারছেন না, তা লিখে গেলেন নিজের সুইসাইড নোটটিতে। নিজেকে মুক্তি দিতে এই পথ বেছেছেন তা খোলসা করেছেন মহিলা৷ 

ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মহিলার দেহ দেখতে পেয়ে পরিবারের তরফেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই সুইসাইড নোটটি আবিষ্কার করে। সেখানে স্পষ্ট করে লেখা, 'আমার মৃত্যুর পর যেন আমাকে শেষ দেখা দেখতে না আসেন আমার স্বামী। এমনকী আমার মুখাগ্নিও যেন না করেন।' নোটটিতে এও লেখা ছিল, 'যে মানুষ বেঁচে আছে তার থেকে যদি টাকা বড় হয় তাহলে আর কিছু বলার থাকে না। আমি নিজের খুশিতেই আত্মহত্যা করছি।' 

সমস্যার সূত্রপাত কবে থেকে?

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে ইন্দোরের লেক প্যালেস কলোনির বাসিন্দা কল্পনা নমদেব পাঁচ বছর আগে নীলেশ নমদেবকে বিয়ে করেন।  এরপর তাঁরা বিদিশা এলাকায় গিয়ে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের পর সব ঠিক থাকলেও সমস্যা দেখা দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে। জানা যায় পণের জন্য কল্পনাকে তাগাদা দেওয়া হয়। 

কল্পনার পরিবারের তরফে বলা হয়েছে যে বিয়ের পর থেকেই কল্পনার সঙ্গে নীলেশের ঝামেলা লেগে থাকত। কল্পনার পারিবারিক সম্পত্তি নিজের নামে করতে চাপ দিতেন নীলেশ। এই ব্যাপারে থানায় স্বামীর নামে অভিযোগও করেছিলেন কল্পনা। এরপর বাড়তে থাকে অত্যাচার, এমনটাই উঠে এসেছে তদন্তে। আদালতে ওঠে ডিভোর্সের মামলা। 

সমস্যার সমাধান পেতে তাই আত্মহত্যাকে বেছে নেন কল্পনা। সুইসাইড নোটে স্বামীর সম্পর্কে সে সব কথাও লিখে যান তিনি। তবে তাঁর ইচ্ছায় নীলেশ নমদেবকে শেষ দেখা দেখতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানান হয়েছে।

Advertisement

Advertisement