scorecardresearch
 

থানাতেই তোলাবাজি : ডাক্তারকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই জালে মহিলা পুলিশ

থানায় বসে তোলাবাজির চক্র ! এমন ঘটনা সামনে আসতেই তোলপাড় গোটা দেশ। সাসপেন্ড এক পুলিশ আধিকারিক। গোটা ঘটনাটি গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করে মামলা দায়ের।

ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • থানাতেই তোলাবাজির র্যাকেট
  • চিকিৎসককে ফাঁসাতে গিয়ে জালে খোদ পুলিশ
  • সাসপেন্ড এক মহিলা অফিসার

থানাতেই তোলাবাজি !

থানাতেই চলছে তোলাবাজি চক্র ! খবর প্রকাশ্যে আসতেই হতবাক গোটা দেশ। দিল্লীর একটি থানাতে চালানো হচ্ছিল তোলাবাজির র্যাকেট এবং এই পুর চক্রটি থানা থেকে চালাতেন এক মহিলা সাব ইন্সপেক্টর। এক চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি সামনে এসেছে।

৩৫ লক্ষে সমঝোতা

দেশের রাজধানী দিল্লির একটা থানাতে এক্সটরশন র্যাকেট চলছিল। যার মধ্যে প্রথমে ৫০ লক্ষ টাকা একজনের কাছ থেকে চেয়েছিল। শেষমেষ ৩৫ লাখ টাকায় বিষয়টি সমঝোতা হয়। এক চিকিৎসকের কাছ থেকে টাকা আদায় করার ছক কষেছিল পুলিশ সহ চক্রটি। ওই ডাক্তার সমস্ত কথোপকথন রেকর্ড করেন। তারপর এই বিষয়টি সামনে আসার পর মহিলা সাব-ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে 

দিল্লীর মহেন্দ্র পার্কের ঘটনা

North-west জেলার থানা মহেন্দ্র পার্কের ঘটনা। এই থানা থেকে বসেই তোলাবাজির চক্রটি চালানো হচ্ছিল। যার মধ্যে এক মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর সরাসরি যুক্ত থেকে একটি চালাচ্ছিলেন বলে খবর মিলেছে। ওই চিকিৎসক সমস্ত বিষয়টি রেকর্ড করে তার কাছ থেকে চাপ দিয়ে টাকা আদায়ের কৌশল সামনে না নিয়ে আসলে রমরমিয়ে চলছিল চক্রটি। শেষমেষ ৫০ লাখের জায়গায় ৩৫ লাখ টাকায় বিষয়টি সমঝোতা হয়। দু'পক্ষের মধ্যে গোটা বিষয়টি চুূক্তি করে তারপর দু লাখ টাকা অনলাইনে ট্রানস্ফার করে দেন ওই চিকিৎসক। থানা থেকে ওই চিকিৎসককে সতর্ক করে দেওয়া হয় যে আগামী দিন সন্ধ্যা ছটার মধ্যে বাকি ৩৩ লাখ টাকা তিনি জমা করে দেন।

গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড কথোপকথন

পরদিন নির্ধারিত সময়ে ওই ডাক্তার পৌঁছননি। তার বদলে তার উকিল থানাতে পৌঁছে ওই মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর এর এবং ওই তোলাবাজি র্যাকেট এর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং দেখা করে কথা বলেন। উকিলের সামনেও ৩৫ লক্ষ টাকার একই কথা বলেন তিনি। তাঁর কাছে রাখা গোপন ক্যামেরায় সমস্ত বিষয়টি রেকর্ড করে নেয় উকিল। পরে সমস্ত বিষয় জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে যান তিনি। কিন্তু রাত্রি দুটো পর্যন্ত অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

অনলাইন টাকা জমা সামনে আসে

দুদিন পরে ওই মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এরপর দু'পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। এক্সটর্সন চক্রের মধ্যে ২ মহিলা সহ আরও এক ব্যক্তি শামিল রয়েছেন বলে প্রকাশ্যে আসে। ওই চিকিৎসক বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে যেভাবে দু'লক্ষ টাকা অনলাইনে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা করেছিলেন চিকিৎসক, সেটিও সামনে আসে।

বরখাস্ত সাব ইন্সপেক্টর

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন। এবং মহিলা সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করে দেন। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার স্তরে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর, হয়রান গোটা দেশ। থানার মধ্যে বসে থানার আধিকারিকরা এভাবে আরও কোথায় কোথায় এমনভাবে তোলাবাজি চালাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।