scorecardresearch
 

বক্সায় বনকর্মী-চোরাশিকারি লড়াই, এ যাত্রা প্রাণে বাঁচল বহু বন্যপ্রাণ

আচমকাই গভীর জঙ্গলে বনকর্মীদের লক্ষ্য করে তির ছুড়তে থাকে চোরাশিকারির একটি দল। পাল্টা বনকর্মীরা চোরাশিকারিদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো শুরু করলে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। বক্সায় বিভীষিকা

Advertisement
ফেলে যাওয়া অস্ত্র ফেলে যাওয়া অস্ত্র
হাইলাইটস
  • চোরাশিকারিদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ
  • শিকার না করেই পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

গভীর রাতে জঙ্গলের কোর এলাকায় এক প্রস্ত খণ্ডযুদ্ধ হয়ে গেল বনকর্মীদের ও চোরাশিকারি দলের মধ্যে।রাতের অন্ধকারে আচমকাই গভীর জঙ্গলে বনকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে বনকর্মীদের লক্ষ্য করে তির ছুড়তে থাকে চোরাশিকারির একটি দল। পাল্টা বনকর্মীরা চোরাশিকারিদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো শুরু করলে রণে ভঙ্গ দেয় চোরাশিকারির দলটি। তীর, ধনুক, বল্লম ফেলে জঙ্গলের পথ ধরে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

রক্ষা পেল বন্যপ্রাণ

শুক্রবার গভীর রাতে বনকর্মীদের তৎপরতায় চোরাশিকারি দলের হাত থেকে রেহাই পেল হরিণ, বুনো শুয়োর, বাইসন, খরগোশের মতো বন্যপ্রাণী। বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় বন দপ্তরের কোনও কর্মীর আঘাত লাগেনি। তবে বনদপ্তরের ছোড়া গুলিতে কোনও চোরাশিকারি জখম হয়েছে কি না, সে খবর নেই। 

তাড়া খেয়ে পালায় শিকারিরা

শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কালচিনি থানার অন্তর্গত চেকো বিটের পাশে কালকূট বনবস্তি এলাকার একটি সেতুতে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাড়া খেয়ে চোরাশিকারীর দল রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের পথ ধরে পালিয়ে যায়। ভোর রাতে বনদপ্তরের এই তৎপরতায় বক্সার জঙ্গলে বড়সড় চোরাশিকারের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়ে বলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্তাদের দাবি।

রুটিন তল্লাশিতে গিয়ে বিপাকে

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম ডিভিশনের উপক্ষেত্র অধিকর্তা প্রবীণ কাসোয়ান বনকর্মীদের নিয়ে রুটিন রেইকিতে বের হন। জঙ্গলে ঘোরার পর শুক্রবার রাতের দিকে বনকর্মীদের দলটি চেকো বিটের কালকূট বনবস্তির একটি সেতুর দিকে যায়। বনকর্মীদের দলটি লক্ষ্য করে সেতুতে তীর ধনুক নিয়ে চোরাশিকারের জন্য চোরাশিকারীর দলটি দাঁড়িয়ে আছে। বনকর্মীদের দলটি সঙ্গে সঙ্গে চোরাশিকারীর দলটিকে তাড়া করলে শিকারের দলের সদস্যরা তীর ধনুক নিয়ে আক্রমণ করে। বনদপ্তরের পাল্টা আক্রমণে অন্ধকারে দলটি জঙ্গলের ভেতরে পালিয়ে যায়।

Advertisement

এই সময়ই দৌরাত্ম্য বাড়ে চোরাশিকারীদের

এরপর বনকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে চোরাশিকারীদের ফেলে দেওয়া বেশ কিছু তির, ধনুক, বল্লম  উদ্ধার করে। বনদপ্তরের অনুমান, শুখা মরশুম শুরু হতেই জঙ্গলের ঘনত্ব কমে আসে। তাতে জঙ্গলের দৃশ্যমানতা অনেকটাই পরিস্কার হয়ে আসে। আর ঠিক এই সময়েই চোরাশিকারীদের দৌরাত্ম্য শুরু হয় জঙ্গলে। শুক্রবার ভোর রাতের ঘটনা সেটাই হতে পারে। অনেক সময় শীতে কুয়াশার সুযোগকেও চোরাশিকারের কাজে লাগায় দুষ্কৃতীরা। বক্সার পশ্চিম ডিভিশনের উপক্ষেত্র অধিকর্তা বলেন, আমরা সতর্ক ছিলাম বলেই চোরাশিকারীদের চোরা শিকারের ছক ভেস্তে গিয়েছে। আমরা সতর্ক আছি। বক্সার জঙ্গলের নিারপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।

 

Advertisement