Hooghly Unnatural Death: হুগলি (Hooghly)-তে দুই মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। একটি ঘটনা উত্তরপাড়া (Uttarpara)-র শখেরবাজারে, অন্যটি ভদ্রেশ্বর (Bhadreshwar)-এ। সোমবার দুই ঘটনার জের চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ভদ্রেশ্বরের চণ্ডীতলায়
পুলিশ জানিয়েছে, ৭৮ বছর বয়সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ভদ্রেশ্বরের চণ্ডীতলার বাসিন্দা মলিনা পাল। সোমবার ভোরে বাড়িতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে বৃদ্ধা মলিনা। তবে কেন এই ঘটনা ঘটল সে ব্যাপারে সঠিক কিছু বলতে পারিনি পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: বীরভূমে হইহই, দাপাচ্ছে যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, তবে কারণটা বেশ মজাদার
অসুস্থ ছিলেন
তাঁর তিন ছেলে এক মেয়ে। মেজ ছেলে জানালেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মা হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। ওপরের ঘরে রাতে ছেলে বউমা আর নীচে নাতিকে নিয়ে থাকত মলিনা পাল। ছেলে ভোর সাড়ে চারটের সময় নীচে নেমে দেখে মা পড়ে রয়েছে। কিছু জিনিস পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ভেনিসে সমুদ্রের নীচে মিলল ২ হাজার বছরের প্রাচীন রাজপথ
আরও পড়ুন: গোলাপী বিকিনিতে সি বিচে উষ্ণতা ছড়ালেন TV অভিনেত্রী
তিনি আরও জানান, আর পাশে দেশলাই পড়ে আছে। তবে কোনও চিৎকারের আওয়াজ পায়নি কেউ। খবর পেয়ে চলে আসে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে তারা।
আবাসনের বন্ধ ঘর থেকে দেহ উদ্ধার
উত্তরপাড়া শখেরবাজার অঞ্চলে জি টি রোডের ওপর একটি আবাসনের বন্ধ ঘর থেকে বছর পঞ্চাশের মহিলা মৃতদেহ উদ্ধার হল। পুলিশ এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ঝুমা বর্ধন নামে ওই মহিলা একাই ওই আবাসনের তিন তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন৷
আরও পড়ুন: রেললাইনে দু'পা হারিয়ে এখন হুইলচেয়ারে ঘুরছে সারমেয় 'হলু', ছবি VIRAL!
ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ
শেষ ৪-৫ দিন ধরে তাঁকে কেউ দেখতে পাননি। আজ বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে দেখে আবাসনের বাসিন্দারাই থানায় খবর দেন ৷ পুলিশ এসে গেট ভেঙে মহিলাকে মৃত অবস্থায় ঘরের ভিতর পরে থাকতে দেখেন৷ ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কীভাবে মহিলার মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার করতে বাড়ির দরজা ভাঙতে হয়। ব্যাপক দুর্গন্ধ থেকে আসছিল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মরদেহে কোনও রকম আঘাতের চিহ্ন নেই। ওই মহিলা একাই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তাঁর কোনও সন্তান নেই।
তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। জানা গিয়েছে, তাদের পাশে ফ্ল্যাটে থাকা আবাসিকরা মহিলার নাম অবধি জানেন না। যখন বাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় তখন পুলিশকে খবর দেন ওরা।