Siliguri Murder Case: ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ির মালিক ও তাঁর স্ত্রীর উপর চড়াও হয়ে এলোপাথারি কোপাল ভাড়াটে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে গৃহকর্ত্রীর মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন বাড়ির মালিক। ভাড়াটেকে খুঁজছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ আম্বেদকর কলোনী এলাকায়। মৃতের নাম গঙ্গা ছেত্রী (৪০)। আহত তাঁর স্বামী মহম্মদ শাহজাদ (৫০)। অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া বছর ২২-এর বিকাশ পাঞ্জিয়ার পলাতক রয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে প্রধাননগর থানা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চতুর্বেদী। এলাকা পরিদর্শনের পর পদস্থ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে বিকাশ পাঞ্জিয়ার নামে ভাড়াটিয়াকে ওই ঘর থেকে পালাতে দেখা গিয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ হঠাৎই শাহজাদ এবং তাঁর স্ত্রীর চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরা। চিৎকার শুনে ঘরের বাইরে এসে দেখেন, ভাড়াটিয়া ওই ঘর থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এরপর প্রতিবেশীরা এসে দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে রয়েছেন গঙ্গা দেবী এবং শাহজাদ। কাছেই ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর সঞ্জয় পাঠক। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে একটি গাড়িতে করে দুজনকে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে গঙ্গা দেবীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এদিকে, শাহজাদের অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁকে মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। কিন্তু মেডিকেলে না নিয়ে তাঁকে খালপাড়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কাউন্সিলরই খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে প্রধাননগর থানার আইসি অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রধাননগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় চলে আসে। পুলিশ এসে আগে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। খবর পেয়ে এসিপি (পশ্চিম) মণীশ যাদব, এসিপি (ডিডি) রাজেন ছেত্রী ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। সমস্ত থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত যাতে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য নাকা তল্লাশিও হচ্ছে।