হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হল এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ। মালদা জেলার পুখুরিয়া থানার আড়াইডাঙ্গা এলাকার ঘটনা। ইতিমধ্যে ওই মহিলার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। পারিবারিক বচসার জেরেই খুন বলে প্রথমিক অনুমান পুলিশের। যদিও ওই মহিলার স্বামীর দাবি, কয়েকজন দুষ্কৃতী তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয় তার স্ত্রীকে।
ঠিক কী অভিযোগ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত গৃহবধূর নাম স্মৃতি মণ্ডল। বয়স ২৮ বছর। ওই মহিলার স্বামীর নাম পঙ্কজ মণ্ডল। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ফতেপুর এলাকায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে রতুয়া-২ ব্লকের আড়াইডাঙ্গার রাজ্য সড়কের ধারে আমবাগানে ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি চাকু এবং মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মালদা শহর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর ফিরছিলেন স্বামী ও স্ত্রী এবং তাদের ৫ বছরের পুত্র সন্তান। মহিলার স্বামীর দাবি. রাতেই ওই গৃহবধূরকে কয়েকজন দুষ্কৃতী দুটি বাইকে করে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে। পরে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর রাতে খবর দেওয়া হয় পুখুরিয়া থানায়। রাতেই খবর পেয়ে স্মৃতি মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, শিলিগুড়িতে মুদির দোকানে মিলল বোমা! গ্রেফতার ৫
আটক স্বামী
তবে ওই মহিলার স্বামীর বয়ানের কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের অনুমান স্বামী-স্ত্রীর বসাচার কারনে খুন হতে পারে ওই গৃহবধূ। পঙ্কজ মণ্ডলকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুখুরিয়া থানার পুলিশ। পাশাপাশি আগের কোনও বিরোধ ছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহিলার স্বামীর দাবি তারা একসঙ্গেই ফিরছিলেন। সেই সময়েই আচমকা কয়েকদিন দুষ্কৃতী বাইকে করে তাদের পথ আটকায়। তারপরেই ওই বধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে। তবে ওইএ দুষ্কৃতীরা কেনই বা পথ আটকেছিল কিংবা পূর্ব পরিচিত কিনা, তা নিয়ে ওই কিছু অসঙ্গতি দেখছে পুলিশ। ওই মহিলার স্বামীকেই আটক করা হয়েছে। বচসার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে