IIM Joka Case: লাঞ্চ খাইয়ে 'ধর্ষণ'! জোকা IIM হস্টেলে যা যা ঘটেছিল, পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্ত

আইআইএম জোকার বয়েজ হস্টেলে তরুণীকে বেহুঁশ করে ধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় আইআইএম জোকার দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার মধ্যেই শহরের বুকে ফের নারী নির্যাতনের এমন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় ধৃত ছাত্রকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। 

Advertisement
লাঞ্চ খাইয়ে 'ধর্ষণ'! জোকা IIM হস্টেলে যা যা ঘটেছিল, পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্তআইআইএম জোকার বয়েজ হস্টেলে ধর্ষণের অভিযোগ।
হাইলাইটস
  • তরুণীকে বেহুঁশ করে ধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
  • দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
  • ধৃত ছাত্রকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আইআইএম জোকার বয়েজ হস্টেলে তরুণীকে বেহুঁশ করে ধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় আইআইএম জোকার দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার মধ্যেই শহরের বুকে ফের নারী নির্যাতনের এমন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় ধৃত ছাত্রকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। 

আদালতে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল পৌনে ১২টা থেকে রাত ৮টা ৩৫ মিনিট, এই সময়ের মধ্যে কাউন্সেলিংয়ের জন্য তরুণীকে আইআইএম জোকার হস্টেল রুমে ডাকেন অভিযুক্ত ছাত্র। এরপরে তরুণীকে লাঞ্চের জন্য খাবার ও জল দেন অভিযুক্ত ছাত্র। তরুণীর অভিযোগ, সেই খাবার খাওয়ার পরই বেহুঁশ হয়ে পড়েন তিনি। তখনই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।  

পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআরের ভিত্তিতে গতকাল রাতে (তারিখ অনুযায়ী শুক্রবার) ১২টা ১৫ মিনিটে হস্টেলের ঘর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর মোবাইল ফোন। 

অন্য দিকে, এই ঘটনায় তরুণীর বাবার দাবি ঘিরেও আলোচনা শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে তরুণীর বাবা বলেছেন, ‘মেয়ের সঙ্গে কেউ অত্যাচার বা খারাপ ব্যবহার করেনি।’ মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়নি বলেও সংবাদমাধ্য়মের কাছে দাবি করেছেন তিনি।  এদিন সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৯:৩৪ মিনিট নাগাদ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তিনি জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে অটো থেকে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি জানতে পারি এসএসকেএম নিউরোলজিস্ট ডিপার্টমেন্টে আমার মেয়ে ভর্তি রয়েছে। পরবর্তীকালে জানতে পারি যে হরিদেবপুর থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। মেয়ে আমাকে জানিয়েছে, ওর সঙ্গে ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।’ তরুণীর বাবা আরও জানিয়েছেন, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার সঙ্গে মেয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে তিনি আরও দাবি করেছেন, মেয়ে ঘুমিয়ে থাকার কারণে তাঁর সঙ্গে এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার করে কথা বলতে পারেননি। 

Advertisement


 

POST A COMMENT
Advertisement