Monojit Mishra Kasba: একাধিক প্রেম-বিয়ের প্রস্তাব-মেসেঞ্জারে বারবার 'Hi' লেখা মানসিক রোগ? মনোবিদ যা জানাচ্ছেন

Manojit Mishra Kasba case: 'আমায় বিয়ে করবে?' কসবা-কাণ্ডে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র নাকি প্রায়শই মেয়েদের এমন প্রস্তাব দিত। প্রাক্তন সহপাঠীদের একাংশের দাবি, কলেজে নতুন ছাত্রী এলেই তাকে 'সেটিং করার' চেষ্টা করত সে।

Advertisement
একাধিক প্রেম-বিয়ের প্রস্তাব-মেসেঞ্জারে বারবার 'Hi' লেখা মানসিক রোগ? মনোবিদ যা জানাচ্ছেনManojit Mishra Kasba case: মনোবিদ কী বলছেন জানুন। (মেসেজের ছবিটি সম্পূর্ণ প্রতীকী)
হাইলাইটস
  • 'অনেকক্ষেত্রে চাইল্ডহুড ট্রমা এর পিছনে দায়ী হতে পারে।'
  • অযথা মেসেজের পিছনে থাকতে পারে প্রায়োরিটি পাওয়ার বাসনা।
  • বন্ধু, সন্তান, আত্মীয়ের মধ্যে এহেন প্রবণতা দেখলেই মনোবিদের কাছে নিয়ে যান।

Manojit Mishra Kasba case: 'আমায় বিয়ে করবে?' কসবা-কাণ্ডে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র নাকি প্রায়শই মেয়েদের এমন প্রস্তাব দিত। প্রাক্তন সহপাঠীদের একাংশের দাবি, কলেজে নতুন ছাত্রী এলেই তাকে 'সেটিং করার' চেষ্টা করত সে। এমনকি, অনলাইনেও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার, মেয়েদের ট্রোলিং, শেমিংয়ের অভিযোগ উঠছে। কিন্তু ঠিক কোন মানসিক পরিস্থিতির থেকে কোনও যুবক এমনটা করতে পারেন?

মনোবিদ যা বলছেন
bangla.aajtak.in-কে মনোবিদ পৌলমী শ বললেন, 'অনেকক্ষেত্রে চাইল্ডহুড ট্রমা-অর্থাৎ ছোটবেলার খারাপ অভিজ্ঞতা, যন্ত্রণা এর পিছনে দায়ী হতে পারে। এগুলি থেকে একটি আগ্রাসী মনোভাব জন্ম নেয়। বহুক্ষেত্রে দেখা যায়, অভিযুক্তরা নিজেদের পুরুষত্ব জাহির করতে মহিলাদের টার্গেট করছেন। এর মাধ্যমে তাঁদের  ইগো সন্তুষ্ট হয়।'

মনোজিতের ক্ষেত্রে তার বাবা জানিয়েছিলেন যে তিনি ছেলের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক আচরণ দেখেননি। তবে তার প্রাক্তন সহপাঠী, পরিচিত মহলের অনেকেই মনোজিতের মহিলাদের প্রতি আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় পেয়েছেন। মনোবিদ বলছেন, অভিভাবক বা বন্ধুরা যদি দেখেন, কেউ এমন আচরণ শুরু করেছেন, তবে সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যক্তিকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। সুনির্দিষ্ট কাউন্সেলিং প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার থেকেই এগুলি জন্ম নেয়। ফলে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। 
मैसेजिंग की लत से लड़कियों की पढ़ाई पर ज्यादा असर - texting habit disract  girl students more than boys reveals study - AajTak

রিপ্লাই না পেয়েও বারবার মেসেজ...
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী যুবকদের একাংশের মধ্যেও মেয়েদের অযথা মেসেজ, ট্রোলিং, শেমিং করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। রিপ্লাই না পেয়েও পরের পর মেসেজ করতে থাকেন। অনেকসময় রেগে গিয়ে গালিগালাজ শুরু করে দেন। মনোবিদ পৌলমীর মতে, অ্যাটেনশন বা প্রায়োরিটি পাওয়ার চেষ্টা থেকে এমনটা হতে পারে। আবার অনেকের মধ্যে প্রত্যাখাত হওয়ার ভয় কাজ করে। এমন সময়ে কেউ প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দিলে তার বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাব তৈরি হতে পারে। তখনই এমন খারাপ মেসেজ, ট্রোলিং করে ফেলেন। 

Advertisement

উল্লেখ্য, মনোজিতের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন গ্রুপে মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ভিডিও শেয়ার, ট্রোলিং, বডি শেমিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। মনোবিদের মতে, এর পিছনে গভীর পার্সোনিলিটি ডিসঅর্ডার কাজ করতে পারে।

কী করণীয়
আপনার কোনও বন্ধু বা পরিবারের কেউ মেয়েদের বিরক্ত করায় অভিযুক্ত হয়েছেন? অনেকেই বিষয়টি 'বয়সের দোষ' বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু এগুলি হেলাফেলা করবেন না। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন, মনোবিদের কাছে নিয়ে যান। শুরুতেই এই সমস্যাগুলির নিষ্পত্তি করা অত্যন্ত জরুরি।

POST A COMMENT
Advertisement