Mass Shooting In New York America: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবিদ্বেষের জেরে ফের ঝরল রক্ত! নিউইয়র্কের বাফেলো শহরে গণহত্যার মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। খবর অনুযায়ী, এক কিশোর (Tanger) সুপার মার্কেটে ঢুকে গুলি চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বাফেলো পুলিশ অফিসাররা একে বর্ণবিদ্বেষের হিংসা বলে জানিয়েছেন। আসলে, যে সুপার মার্কেটে হামলা হয়েছে তা বাফেলো শহরের থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে। এই এলাকায় অধিকাংশ কৃষ্ণাঙ্গদের বসবাস। হামলাকারী কীভাবে এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটল? বাফেলো শহরের পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়ার জানান-
শনিবার একটি সুপার মার্কেটের বাইরে পৌঁছায় এক কিশোর। তিনি একটি সামরিক পোশাক পরেছিল, সঙ্গে ছিল অস্ত্র। তার পরনে ছিল সেনাবাহিনীর হেলমেট। হেলমেটে একটি ক্যামেরা লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছিল। গাড়ি থেকে নেমে সুপার মার্কেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর গুলি চালায় সে। সেখানে ৪ জন, যার মধ্যে ৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিরাপত্তারক্ষীও নিহত
দোকানের ভিতরে একজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন, যিনি স্থানীয় পুলিশ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তিনি হামলাকারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। গুলি হামলাকারীর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে লাগে এবং তার কোনও প্রভাব পড়েনি। এর পর সে গার্ডকে হত্যা করে। এখান থেকে সে সুপার মার্কেটে ঢুকে গুলি চালাতে থাকে। ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ১০ মারা গেছেন। ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন কৃষ্ণাঙ্গ এবং ২ জন শ্বেতাঙ্গ বলে দাবি পুলিশের।
গুলি করার পর আত্মসমর্পণ করে
হামলার পরপরই বাফেলো পুলিশ সুপার মার্কেটের সামনে আসে। হামলাকারী ও পুলিশের মধ্যে ক্রস ফায়ারিং হয়। পুলিশ হামলাকারীকে আত্মসমর্পণ করতে বলে। এরপর হামলাকারি তার ঘাড়ে বন্দুক রাখে। পুলিশ বন্দুকটি ছুড়তে বললে সে বন্দুক ছুড়ে দেয়। হামলাকারী সেখানেই আত্মসমর্পণ করে। আক্রমণকারী পেটন গেন্ড্রন, ১৮ বছরের এক তরুণ। বাফেলোর প্রায় ২০০ মাইল (৩২০ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পূর্বে কনক্লিনের বাসিন্দা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। গেনড্রনকে আদালতে পেশ করা হয়, সেখান থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।