Instagram Reels: নতুন বউয়ের সঙ্গে রিলস 'নিখোঁজ' স্বামীর, চক্ষু ছানাবড়া প্রথম স্ত্রীর

সোশ্যাল মিডিয়ার জেরে ফাঁস কুকীর্তি। ইনস্টাগ্রাম রিল থেকে ধরা পড়লেন 'নিখোঁজ' যুবক। সাত বছর ধরে বেপাত্তা ছিলেন তিনি। হঠাৎ দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ভিডিও দেখে ফেললেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। ২০১৭ সালে, বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই হরদোইয়ের ওই যুবক নিখোঁজ হয়ে যান।

Advertisement
নতুন বউয়ের সঙ্গে রিলস 'নিখোঁজ' স্বামীর, চক্ষু ছানাবড়া প্রথম স্ত্রীরএই রিল দেখেই ধরে ফেললেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী।
হাইলাইটস
  • সোশ্যাল মিডিয়ার জেরে ফাঁস কুকীর্তি।
  • ইনস্টাগ্রাম রিল থেকে ধরা পড়লেন 'নিখোঁজ' যুবক।
  • দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ভিডিও দেখে ফেললেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। 

সোশ্যাল মিডিয়ার জেরে ফাঁস কুকীর্তি। ইনস্টাগ্রাম রিল থেকে ধরা পড়লেন 'নিখোঁজ' যুবক। সাত বছর ধরে বেপাত্তা ছিলেন তিনি। হঠাৎ দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ভিডিও দেখে ফেললেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। ২০১৭ সালে, বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই হরদোইয়ের ওই যুবক নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক খুঁজেও হদিশ না মেলায় থানায় মিসিং ডায়েরি করেন তাঁর বাবা। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পুত্রবধূ এবং তার বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে জামাইকে হত্যা এবং 'গুম' করার অভিযোগ তোলেন। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর পর, সত্যিটা বেরিয়ে এল। ইনস্টাগ্রাম ঘাঁটতে গিয়ে হঠাৎ এক দম্পতির রিল দেখতে পান প্রথম পক্ষের স্ত্রী। আর সেখানেই যুবকটিকে দেখেই চিনে ফেলেন। সেই ব্যক্তিই যে তাঁর 'নিখোঁজ' স্বামী, তা বুঝতে দেরি হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে রিলটি এনে স্থানীয় থানায় দেখান। এর পর, পুলিশ তৎপর হয়ে তদন্তে নামে। আর তাতেই পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

পঞ্জাবে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে  
জানা যায়, স্ত্রী পরিবারকে ছেড়ে ইচ্ছা করেই পালিয়েছিলেন ওই যুবক। অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে পঞ্জাবে থাকতেন। প্রতারণার অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হরদোই জেলার সান্দিলা থানার পুলিশের হেফাজতে আছেন তিনি। অভিযুক্ত যুবকের নাম জিতেন্দ্র ওরফে বাবলু। এদিকে এই বাবলুর বাবাও কিন্তু একজন পুলিশকর্মী। একজন আইনরক্ষকের ছেলের এমন বেআইনি কাজে কার্যতই হতচকিত সকলে।

প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে গোপনে অন্য মহিলাকে বিয়ে করার অভিযোগে পুলিশ জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে। ২০১৭ সালে মুরাদনগরের বাসিন্দা শীলুর সঙ্গে জিতেন্দ্রর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা একটি সোনার চেইন এবং আংটি দাবি করে। সেই দাবি পূরণ না হলে ২০১৭ সালেই শীলুকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর পর, শীলুর পরিবার তাঁর স্বামী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে যৌতুক নিয়ে নির্যাতনের মামলা দায়ের করে।

সেই মামলার তদন্ত চলাকালীনই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান জিতেন্দ্র। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার পর, জিতেন্দ্রের বাবা ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল একটি এফআইআর দায়ের করেন। সান্দিলা পুলিশ যুবকের খোঁজ শুরু করে।

গত সাত বছর ধরে জিতেন্দ্রর প্রথম পক্ষের স্ত্রী শীলু তাঁর বাপেরবাড়িতেই আছেন। যৌতুক নিয়ে চাপ, অত্যাচার তো ছিলই। কিন্তু স্বামীর এভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাঁর কাছে রীতিমতো ধোঁয়াশা ছিল। আপাতত পুরো বিষয়টিই তাঁর কাছে জলবৎ তরলং! ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করতে করতেও যে এমন জীবন পাল্টে দেওয়া রহস্যের উন্মোচন হয়, তা কে জানত! 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement