গলা টিপে নিজের সদ্যোজাত শিশু সন্তানকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা। অমানবিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার বাদুড়িয়ার পশ্চিম নাটুরিয়া গ্রামে। অভিযুক্তের নাম রুহুল আমিন সরদার। জানা যাচ্ছে একের পর এক মেয়ে হওয়া মেনে না নিতে পেরেই এমন কাণ্ড ঘটায় রুহুল আমিন সরদার। অভিযুক্তের এমন মানসিকতা এবং বর্বরকাণ্ডে স্তম্ভিত গ্রামবাসীরা ।
রুহুল আমিন সরদারের পরপর তিন মেয়ে জন্মায়। তারওপর সদ্য জন্মান শিশুর গায়ের রং কালো। আর তার মাশুলই দিতে হল একদিনের শিশুকন্যাকে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত রুহুল আমিন সরদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন পরিবার পরিজনেরাও ।
পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার রাতে স্থানীয় হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন আমিনা বিবি নামে বছর পঁচিশের এক মহিলা । আগেও তাঁর দুটি মেয়ে রয়েছে । পরপর তিনটি মেয়ে হওয়ায় মন থেকে মেনে নিতে পারেননি স্বামী রুহুল আমিন সরদার । হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে নাটুরিয়া গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে ফিরতেই মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন তাঁর স্বামী । অভিযোগ, মঙ্গলবার ভোরের দিকে সদ্যজাতকে ঘরের মধ্যে রেখে মহিলা বাইরে গিয়েছিলেন প্রাতঃকৃত্য করতে । তখনই সুযোগ পেয়ে সদ্যজাত শিশু সন্তানকে গলা টিপে তার বাবা খুন করে ।
জানা যাচ্ছে, পরপর মেয়ে হওয়ায় স্ক্রীকেই দায়ি করতো রুহুল আমিন ও তার পরিবার। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও চালান হতো স্ত্রীর ওপর। মঙ্গলবার শিশুটির বাবা গলা টিপে হত্যা করার পর গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে শিশুকন্যাকে রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। স্থানীয় বাসিন্দারা বাবাকে আটক করে রাখে তারপর বাদুড়িয়া থানার পুলিশ আসলে তাদের হাতে তুলে দেয়। মৃত শিশু কন্যার মা ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তদন্ত শুরু করেছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ ।