বিহারের পটনার বদায়ুনে এক যুবকের খুনের মামলার সমাধান করে ফেলেছে। পুলিশ জানিয়েছে ওই যুবককে তাঁর স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে গলা টিপে হত্যা করেছে। ওই যুবকের স্ত্রী আজমেরি খাতুন ওরফে মঞ্জু দেবী আগেও একাধিক বিয়ে করেছিলেন। মৃত যুবক সুভাষ প্রজাপতির ভাই জানিয়েছেন, তাঁর বৌদির অন্য কোনও যুবকের সঙ্গে অ্যাফেয়ার চলছিল। তাঁর দাদাকে হত্যা করে সে চতুর্থ বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল।
ভাইয়ের দাবি, দাদা, বৌদির পরকীয়ার প্রতিবাদ করত, তাই তাঁকে হত্য করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় সে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সুভাষ নেশাসক্ত ছিলেন। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ লেগে থাকত। পরিস্থিতি সহ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় তাঁকে খুন করে মহিলা। বিহারের ফুলবাড়ি শরিফের ভুসোরা দানাপুর নিবাসী আজমেরি খাতুনের সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয় সুভাষ প্রজাপতির।
জানা গিয়েছে, এর আগে আজমেরির আরও দুবার বিয়ে হয়েছিল। তাদের ছেড়ে দিয়ে সুভাষকে জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে বলে তাঁর ভাইয়ের দাবি। আগের দুই স্বামীর ঘরে তাদের দুটি ছেলে আছে। এরপর চতুর্থ বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল ওই মহিলা। যা জানতে পেরে যায় সুভাষ। তারপর থেকেই গোলমাল শুরু হয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বের হয়ে যেতে থাকায় স্ত্রী, শ্বশুর মহম্মদ আলাউদ্দিন, শাশুড়ি আখতারি খাতুন মিলে তাঁকে হত্যা করে।
শুক্রবার সুভাষের লাশ খেতে পড়েছিল। সুভাষের গলায় দাগ ছিল। লাশটি তাঁর শ্বশুরবাড়ি এলাকায় পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ তাদের জেরা করে চাপ দিতে থাকে। এরপর নিজেরাই অপরাধ স্বীকার করে তারা।