রাজু ঝা (Raju Jha) খুনে গঠিত হল সিট (SIT)। ১২ জন সদস্য নিয়ে গঠিন এই সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়েছে তদন্ত। ঘটনার পরই জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, "গাড়িতে শুট আউট হয়েছিল। একজন মারা গিয়েছেন। চালকের কিছু হয়নি। আরেকজন ঠিক আছেন। যা যা করণীয় তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। যা যা পাওয়া গিয়েছে সবই সিজ করা হয়েছে"।
এদিকে রবিরারই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে ফরেন্সিক দল। নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক কর্তারা। দলের এক সদস্য জানান, "আরও দেখতে হবে আমাদের। আমরা স্যাম্পেল সংগ্রহ করে ল্যাবে টেস্ট করাব। তারপরেই কিছু বলতে পারব"। সূত্রের খবর, কাচের টুকরো এবং বুলেটের ১৩টি খোল ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক দলের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, রাজুর শরীরে মোট ৬টি বুলেট লাগে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজু ঝা চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, পিছনের সিটে আরও ২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। ব্রতীনও গুলিতে আহত হন। বর্তমানে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তবে দ্বিতীয়জনকে নিয়ে দানা বাঁধতে শুরু করেছে জল্পনা। একটা সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, পিছনের সিটে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তি গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর খাতায় নাম থাকা আবদুল লতিফ। যদিও এই নিয়ে পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ঘটনার পর কানে ফোন নিয়ে হাঁটাচলা করতে দেখা যাচ্ছে আবদুল লতিফকে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি Bangla.Aajtak.In। অন্যদিকে কারও কারও দাবি, যে গাড়িতে রাজু ঝা-কে খুন করা হয়েছে সেটি আবদুলেরই। যার জেরে রাজু ঝা-এর খুনকে ঘিরে ঘনীভূত হয়েছে গাঢ় রহস্য। এখন দেখার সিট এই রহস্যের জাল ভেদ করতে পারে কি না।
আরও পড়ুন - ছবিতে একটি কুকুর ঘাপটি মেরে রয়েছে, খুঁজে বের করুন দেখি