RG Kar Doctor Death Sandip Ghosh: 'ওষুধপত্র নয়, মেডিক্যাল স্টোর থেকে ফ্রিজ, সোফা...', সন্দীপের কীর্তি CBI-তদন্তে

সিবিআই সূত্রের খবর,তল্লাশির সময় ডিজিটাল নথি-সহ নানা অপরাধমূলক নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। নথিপত্র যাচাই এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে একাধিক তথ্য।

Advertisement
'ওষুধপত্র নয়, মেডিক্যাল স্টোর থেকে ফ্রিজ, সোফা...', সন্দীপের কীর্তি CBI-তদন্তে সন্দীপ ঘোষ
হাইলাইটস
  • সিবিআই সূত্রের খবর,তল্লাশির সময় ডিজিটাল নথি-সহ নানা অপরাধমূলক নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। নথিপত্র যাচাই এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে একাধিক তথ্য।
  • সন্দীপ ঘোষ একাধিক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে একের পর এক অপরাধ করে গিয়েছেন।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি-সহ ১৫টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ১২ ঘন্টা ধরে চলেছে তল্লাশি। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। 

সিবিআই সূত্রের খবর,তল্লাশির সময় ডিজিটাল নথি-সহ নানা অপরাধমূলক নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। নথিপত্র যাচাই এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে একাধিক তথ্য। সন্দীপ ঘোষ একাধিক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে একের পর এক অপরাধ করে গিয়েছেন। যাতে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি। সিবিআই তদন্তে জানা গিয়েছে,সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ধৃত বিপ্লব সিনহা এবং সুমন হাজরা। সন্দীপ ঘোষ বিপ্লব সিনহাকে তখন থেকে চিনতেন যখন তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের এইচওডি ছিলেন। সেখানে সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন বিপ্লব সিনহা। সন্দীপ ঘোষ আরজি কর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত হওয়ার পর ওই দু'জনকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর অভিযুক্ত দু'জন মেডিক্যালে কলেজে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বিক্রির বরাত পেতে থাকে। 

স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ছিল না

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তদন্তে জানা গিয়েছে, যে অভিযুক্ত বিপ্লব সিনহা মালিকানাধীন মা তারা ট্রেডার্সের সঙ্গে ডক্টর সন্দীপ ঘোষের গভীর সম্পর্ক ছিল। এই মামলায় নথিভুক্ত কিছু বিবৃতি থেকে সিবিআই জানতে পেরেছে যে বিপ্লব সিনহা নিজে, তাঁর বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্য এবং কর্মীরা একাধিক সংস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতেন। এই সব সংস্থার মাধ্যমে তিনি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতেন। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, কোনও একটি সরকারি কাজে নিজের একাধিক সংস্থার মাধ্যমে দরপত্র দিতেন বিপ্লব সিনহা। শেষপর্যন্ত তাঁর একটি সংস্থাই বরাত পেত। বেশিরভাগ দরপত্রই পেত মা তারা ট্রেডার্স, মেসার্স বাবা লোকনাথ এবং তিয়াশা এন্টারপ্রাইজ।

তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ মেসার্স মা তারা ট্রেডার্সকে বেআইনিভাবে বরাত পাইয়ে দিতেন। আর এক ধৃত সুমন হাজরার সংস্থা মেসার্স হাজরা মেডিক্যালকেও একইভাবে আরজি কর হাসপাতালের একাধিক বরাত দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই সূত্র বলছে, সোফা সেট, রেফ্রিজারেটর কেনার মতো কাজও হাজরা মেডিক্যালকে দেওয়া হয়েছিল। এগুলো চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে হাত মেলানোর পর সুমন হাজরার সংস্থার টার্নওভার ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তিনগুণ বেড়েছে।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement