scorecardresearch
 

চিটফান্ড! কয়েক কোটি টাকার প্রতারণায় কলকাতায় ধৃত মহিলা

সারদা সহ একগুচ্ছ অর্থ লগ্নি সংস্থার প্রতারণার ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাজ্যবাসী। তারই মধ্যে দক্ষিণ কলকাতা ও লাগোয়া যাদবপুর এলাকা থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে ওই মহিলা। অল্প সময়ে টাকা ডবল করার টোপ ছিল বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
হাইলাইটস
  • প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার মহিলা
  • চিটফান্ডে টাকা বাড়ানোর টোপ
  • প্রায় ১০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ

প্রায় ৭-১০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, একবালপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম তবস্সুম বেগম। ধৃতকে এদিন আলিপুর পুলিশ কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাকে আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিটফান্ড কাণ্ডে ধৃত ওই মহিলা একবালপুর, মেটিয়াবুরুজ, খিদিরপুর, পার্ক সার্কাস-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গৃহবধূদের চিটফান্ডে টাকা লগ্নি করার জন্য রাজি করিয়েছিলেন। এর পরিবর্তে তিন মাসের মধ্যে লগ্নি করা টাকার ৪০ শতাংশ মুনাফা-সহ মূলধন ফেরত দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল ওই মহিলা। শুধু তাই নয়, সে আরও জানিয়েছিল, যদি কোনও ব্যক্তি কোনও লগ্নিকারীর রেফারেন্স দিয়ে টাকা লগ্নি করে, তাহলে রেফারেন্স দেওয়া ব্যক্তিকে ২ শতাংশ মুনাফা দেওয়া হবে।

অভিযোগ, এভাবেই কারোর থেকে ২০ লাখ, কারোর থেকে ৩৫ লাখ, আবার কারোর থেকে ৬৭ লাখ টাকা-সহ মোট প্রায় ৭-১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তবসসুম বেগম। প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার জন তার দ্বারা অর্থনৈতিক ভাবে প্রতারিত হয়েছে বলে অভিযোগ।

এদিন আলিপুর কোর্টে পেশায় অ্যাপ ক্যাব চালক এক প্রতারিত ব্যক্তি বলেন, "বিগত প্রায় এক বছর ধরে ওই মহিলা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমনকী, ভরসা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য শুরুর দিকে এক-দু'বার আমাদের লগ্নি করা টাকার সুদ সমেত মূলধন ফেরতও দেওয়া হয়। তখন আমরা লোভের বশে আরও বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লগ্নি করে দিই। তারপর জানতে পারি যে আমরা প্রতারিত হয়েছি।" অন্যদিকে এক প্রতারিত মহিলা বলেন, "আমরা যখন আমাদের প্রাপ্য টাকা চাইতে যাই, তখন টাকা চুরি হয়ে গিয়েছে বলে জানায় ওই মহিলা। এত বড়ো অঙ্কের টাকার প্রতারণা করা হয়েছে যে, সেই ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে আমার পরিবারের এক বয়স্ক সদস্য ট্রমা অ্যাটাক করে মারা গিয়েছেন।" তিনি আরও বলেন, "এই গোটা চক্রের সঙ্গে তবে বেগমের পুরো পরিবার যুক্ত রয়েছে আমাদের দাবি অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক ও আমাদের প্রাপ্য টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।"

Advertisement

প্রতারিত ব্যক্তিদের অভিযোগ, পুলিশের কাছে এ বিষয়ে জানাতে গেলে পুলিশ প্রথমে তা অস্বীকার করে ও পরের দিকে তবসসুম বেগম তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। অবশেষে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর তবসসুম বেগমের বিরুদ্ধে একবালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করল একবালপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

Advertisement