শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের নামে ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। শুধু খোলাই নয় সেই অ্যাকাউন্ট থেকে কখনও ব্যক্তিগতভাবে এবং কখনও পার্টি ফান্ডে হাজার হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। শঙ্কর ঘোষের আসল প্রোফাইলে যে সমস্ত বন্ধুবান্ধব রয়েছে, তাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে।
বিধায়কের প্রোফাইল থেকে মেসেঞ্জারে টাকা চাওয়া হচ্ছে
অনেকেই বিধায়কের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেখে তা গ্রহণ করছেন এবং তারপরই তার কাছে ব্যক্তিগত মেসেজে মেসেঞ্জারে টাকা চেয়ে পাঠানো হচ্ছে এবং সমস্ত কথোপকথনই হচ্ছে হিন্দিতে। কখনও ৩০ হাজার, কখনও ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। তার জন্য মানি ওয়ালেট এর অ্যাড্রেস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুই-একজন ভুল করে বুঝতে না পেরে টাকা দিয়েও দিয়েছেন বলে খবর।
বিধায়ক কখনওই টাকা চাননি
বিষয়টি সামনে আসতেই তড়িঘড়ি আসরে নামতে হয়েছে খোদ বিধায়ক শংকর ঘোষকে। শিলিগুড়ির প্রাক্তন বাম নেতা তথা অধুনা বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ এই মুহূর্তে দলীয় কাজে কলকাতায় রয়েছেন। তিনি কলকাতা থেকে একটি ফেসবুক লাইভ করে বিষয়টি সকলকে জানান। কলকাতা থেকেই তিনি পরিচিতদের সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে এই ফাঁদে পা দিয়ে কেউ টাকা না দেন। তিনি কারও কাছে কখনও টাকা চাননি।
পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়েছে
শঙ্করবাবু জানান, বিষয়টি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মাকে ফোনে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সাইবার থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হচ্ছে। তিনি নিজে যেহেতু কলকাতায় রয়েছেন তাই তাহলে এই প্রক্রিয়া দলীয় কর্মীরা সম্পন্ন করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রতারণার খপ্পরে পড়েছিল পুলিশও
এর আগে শিলিগুড়ি বিভিন্ন পুলিশ অফিসারদের ফেক প্রোফাইল বানিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা থেকে বাদ যায়নি ডিএসপি, ডেপুটি কমিশনার, সাব ইন্সপেক্টর থেকে পুলিশ কনস্টেবল পর্যন্ত। কয়েকটি ক্ষেত্রে অনেকের টাকাও খোয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে প্রতারণার খপ্পরে পড়েছিলেন আরও এর বিধায়ক
পাশাপাশি কিছু সাধারণ মানুষের প্রোফাইল নকল করে তা থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর আগে প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য তা কিছুটা ফেরত পাওয়া যায় পুলিশি তৎপরতায়। তবে বিধায়কের প্রোফাইল নকল করে টাকা চাওয়ার অভিযোগের আগের ঘটনা ঘটেনি।