স্পেশাল টাস্কফোর্সের অভিযানে রক্ত পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস। চিকিৎসক সমেত দুজন গ্রেপ্তার ধৃতদের কাছ থেকে ১০০ ইউনিট রক্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ডাক্তার অভয় প্রতাপ সিংকে আগ্রা এক্সপ্রেস থেকে রক্তের চোরাচালানের অভিযোগে দু দফায় ১০০ ইউনিট ব্লাড এর সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রক্ত পাচারের চক্র
অভিযুক্ত চিকিৎসক উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাবে রক্ত বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ছিল। উত্তরপ্রদেশে রক্তের চোরাচালানকারীদের একটা বড় চক্রের সন্ধান পায়। তারই ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য। জানা গিয়েছে এদের মধ্যে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। ওই চিকিৎসক কেজিএমসি, এসজিপিটিআই-এর মতো প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন।
মূল অভিযুক্ত মেডিক্যালের প্রোফেসর
অভিযুক্ত মেডিকেল কলেজে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এর চাকরি করেন। অভিযুক্তের কাছ থেকে ১০০ ইউনিট রক্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই চিকিৎসকদের কাছ থেকে প্রথমে ৪৫ ইউনিট রক্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়। অভিযুক্ত চিকিৎসক-এর গাড়ি থেকে ৪৫ ইউনিট রক্তের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে।
গাড়ি-বাড়ি থেকে ১০০ ইউনিট রক্ত উদ্ধার
ওই রক্তের বিষয়টাকে যখন চেপে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন তিনি জানান, যে বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবিরে দেওয়া রক্ত এক জায়গায় জড়ো করে তিনি তা সরবরাহের কাজ করেন। এ সমস্ত নথি তার বাড়িতে রাখা আছে, এসটিএফ টিম অভয় প্রতাপ সিংয়ের সঙ্গে তার বাড়িতে সুশান্ত সিটিতে অবস্থিত গঙ্গোত্রী অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছান এবং সেখানে ফ্রিজ থেকে আরও ৫৫ ইউনিট রক্ত উদ্ধার করেন।
ভেজাল নথি বাজেয়াপ্ত
সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে অভয় প্রতাপ সিংকে প্লেট থেকে শুরু করে যে সমস্ত দলিল-দস্তাবেজ দেখিয়েছে, সমস্তই নকল ছিল। রক্তের সাপ্লাই যখন কড়াকড়ি ভাবেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, অভয় প্রতাপ এবং অভিষেক পাঠক তারা জানায়, বুঝে তারা শুধু চোরাচালান করেন না পাশাপাশি ভেজাল রক্তের সাপ্লাইও করে।
রক্তের সঙ্গে স্যালাইন মিশিয়ে বিক্রি
ডক্টর অভয় জানিয়েছেন রাজস্থান হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে লোকেরা প্রমুখ অত্যন্ত বেশি রক্ত দান করে এখানে ব্লাড ব্যাংকে পর্যাপ্ত রক্ত থা।কে এরকম রক্ত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতি ইউনিট বারোশো টাকা হিসেবে রক্ত কিনে নেন এবং ইউপির আশপাশে নার্সিংহোমের চার হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা প্রতি ইউনিট রক্ত বিক্রি করে দেন। প্রয়োজন পড়লে বিরক্ত ওই রক্তের মধ্যে স্যালাইন ওয়াটার মিলিয়ে ১ ইউনিট রক্তকে ২ ইউনিট বানিয়ে বিক্রি করে দেন।
প্রতিষ্ঠিত টিকিৎসক হয়েও প্রতারণা
অভয় প্রতাপ ২০০০ সালে কেজিএমসি থেকে এমবিবিএস, ২০০৭ এএসজিপিএজিআই থেকে এমডি, ট্রানসফিউশন মেডিসিন ডিগ্রী নেওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে এই মুহূর্তে তিনি উত্তরপ্রদেশের ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সাইন্স চেপে অটোয়াতে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এর পদে চাকরি করছিলেন।