সেক্স ডল কিনতে গিয়ে প্রতারণার জালে প্রাক্তন শিক্ষক! খোয়ালেন ৩৭ লাখ

সেক্স ডল কিনতে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পরে পড়লেন শিলিগুড়ির এক অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। প্রায় ৩৭ লাখ টাকা প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এই ঘটনা তদন্তে নেমে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তার খোঁজ করছে পুলিশ।

Advertisement
সেক্স ডল কিনতে গিয়ে প্রতারণার জালে প্রাক্তন শিক্ষক! খোয়ালেন ৩৭ লাখশিক্ষককে প্রতারণার অভিযোগ।
হাইলাইটস
  • সেক্স ডল কিনতে গিয়ে প্রতারণার জালে প্রাক্তন শিক্ষক
  • খোয়ালেন ৩৭ লাখ
  • তদন্ত শুরু পুলিশের

সেক্স ডল কিনতে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পরে পড়লেন শিলিগুড়ির এক অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। প্রায় ৩৭ লাখ টাকা প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এই ঘটনা তদন্তে নেমে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তার খোঁজ করছে পুলিশ।

ঠিক কী অভিযোগ

টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখে যৌন তৃপ্তির সেক্স ডল কেনার ইচ্ছা জেগেছিল জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের এক অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকের। কিন্তু তাতেও মিটল না শেষ ইচ্ছা। বরং উল্টে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ৩৭ লক্ষ টাকা খোয়াতে হল ওই পৌঢ়কে। জানা গেছে গতবছর শিলিগুড়ির হংকং মার্কেট থেকে ১ লাখ টাকা দামের একটি বিদেশি পুতুল কেনার জন্য মনস্থির করেন। এরপর ওই শিক্ষক পুতুলটি নিতে কয়েক হাজার টাকা অগ্রিম বায়না করেন। পুতুলটি ওই শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে বাকি টাকা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। কিন্তু পুতুলের বায়না দেওয়ার কিছুদিন পরই ওই পৌঢ়র কাছে ফোন আসে প্রতারকদের। সেখানে বলা হয় পুতুলটি নিয়ে যাওয়ার সময় আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। তাই কিছু টাকা নাগবে। 

প্রতারণার জালে শিক্ষক

তারপর জাকির হুসেন নাম বলে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দেয়। গ্রেপ্তারি এড়াতে শিক্ষকের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয় তার পরিচয় ফাঁস করিয়ে দেওয়া এবং বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে ভাগে ভাগ ৩৭ লক্ষ টাকা নেয় প্রতারকরা। অবশেষে কোনও দিশা না পেয়ে গত বছর নভেম্বর মাসে ঘটনা নিয়ে রাজগঞ্জ থানায় ওই ব্যক্তি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিলিগুড়ি থেকে এক পানশালার মালিককে গ্রেফতার করে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। 

জড়িত আরও অনেকে

পুলিশ সূত্রে খবর ধৃত ব্যক্তির নাম পবন দাস। ধৃতকে শনিবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। তবে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ওই ব্যক্তিকে প্রতারকরা ফোন করে বিভিন্ন বার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করিয়েছে। একই সঙ্গে জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের পরিচয় দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য তার কাছে বড় অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়। তাই এই চক্রের পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে, কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement