যে কোনও চুরির সিনেমাকেও হার মানাবে এই ঘটনা। এর আধটা নয়, ৫ হাজার গাড়ি চুরি করেছেন এই ব্যক্তি। নাম অনিল চৌহান। ইনিই দেশের সব থেকে বড় চোর। তবে শুধু চুরি নয়। অনিলের জীবনও বেশ রঙিন। তাঁর রয়েছে, ৩ স্ত্রী ও ৭ সন্তান।
মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ অনিল চৌহানকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫ হাজারের বেশি গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে। অনিলের সম্পত্তির পরিমাণও তাক লাগানো। ৫২ বছর বয়সী অনিলের দিল্লি, মুম্বই এবং উত্তর পূর্র রাজ্যে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। যার মধ্যে একটি বাড়ির দামই নাকি ১০ কোটি টাকা। আরও সম্পত্তির হদিশও শুরু করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, অনিল দেশের সবচেয়ে বড় গাড়ি চোর। গত ২৭ বছরে ৫ হাজারের বেশি গাড়ি চুরি করেছেন। আর চুরি করার কায়দাও ছিল রীতিমতো কর্পোরেট।
আরও পড়ুন : রাজ্যের কোথায় খুলবে পিএমশ্রী স্কুল, কারা-কীভাবে ভর্তি হতে পারবে?
উত্তর-পূর্ব ভারত ও নেপালে গাড়ি চুরি করার জন্য বিমানে যেতেন তিনি। তারপর কাজ শেষ করে ফিরে আসতেন। একবার নয়, বহুবার এভাবেই বিমানে গাড়ি চুরি করতে যেতেন অনিল। পুলিশের কাছে সেই সংক্রান্ত তথ্য়ও রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই অনিলকে খুঁজছিল পুলিশ। এর আগে নাগাল পেয়েছিল। তবে মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ অনিলকে দেশবন্ধু গুপ্ত রোড এলাকা থেকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অনিল বর্তমানে অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত। তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে অস্ত্র নিয়েছিলেন এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠনগুলিতে তা সরবরাহ করতেন।
অনিলের জীবনও বেশ রঙিন। এক সময় অটো রিকশা চালাতেন। ১৯৯৫ সালে প্রথম চুরি অনিলের। সেই যুগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মারুতি ৮০০ গাড়ি চুরি করেছিলেন। তারপর তার গাড়ি চুরির সংখ্যা বাড়তে থাকে। নেপাল, জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যে বিস্তার করেন জাল।
আরও পড়ুন : পড়ুয়াদের ৫০ হাজার টাকা দেবে মোদী সরকার, কারা-কীভাবে পাবেন ?
পুলিশের দাবি, চুরির সময় বেশ কয়েকজনকে হত্যাও করেন অনিল। অবশেষে তিনি অসমে চলে যান এবং সেখানে বসবাস শুরু করেন। ততদিনে বাড়তে শুরু করেছে সম্পত্তি। দিল্লি, মুমবাই এবং উত্তর পূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্ একের পর এক সম্পত্তি বাড়াতে শুরু করেন।
অনিলের রয়েছে তিন স্ত্রী ও সাত সন্তান। তাঁদের বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও করা হয়। এর আগে অনিল ও গ্রেফতার হয়েছেন। তবে ছাড়া পান ২০২০ সালে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৮০টি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, অনিলের তিন স্ত্রী ও সাত সন্তান রয়েছে। তিনি অসমে সরকারি ঠিকাদার হয়েছিলেন।
অনিল চৌহানের কাছ থেকে ছয়টি পিস্তল ও সাতটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর গ্যাংয়ে ৩০ জন সদস্য রয়েছে। যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। অনিলের রয়েছে ১০ কোটি টাকার এক বাড়িও। যা এখন আলোনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।