যেভাবেই হোক একটা ভ্যাকসিন চাই। আর তারজন্য দিন-রাত কাজ করে চলেছেন বিশ্বের নানা দেশের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীর দল। ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ভারতও। সকলেরই আশা চলতি বছরের শেষেই একটি নির্ভরযোগ্য ভ্যাকসিন পাবে বিশ্ববাসী। ইতমধ্যেই ভারত সরকার শুরু করে দিয়েছে টিকা বিতরণের রূপরেখা তৈরির কাজ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ঠিক করেছে প্রথম দফায় ৩০ কোটি ভারতীয়কে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই তালিকায় থাকছেন যাঁদের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। রয়েছেন চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাফাইকর্মী, বয়স্ক মানুষ সহ যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে।
টিকা প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সি প্রায় ২৬ কোটি মানুষ। এর জন্য প্রয়োজন হবে করোনা প্রতিষেধকের প্রায় ৬০ কোটি ডোজ। ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেলেই প্রথম দফায় বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আগামী বছরের গোড়াতেই একাধিক করোনা টিকার গবেষণা এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাফল্যের আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীগুলি ইতিমধ্যেই টিকার উৎপাদন এবং বণ্টন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত রূপরেখা তৈরি করেছে।’’
বর্তমানে তিনটি ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে ভারতে। ভারত বায়োটেতকের কোভ্যাক্সিন, জাইডাস ক্যাডিলার করোনা ভ্যাকসিন ও সিরাম ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি অক্সফোর্ড-অস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ডের ট্রায়াল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। এর মধ্যে দুটি ভ্যাকসিনের অন্তিম পর্যায়ের ট্রায়ালের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। একটি রয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে।
ভারত সরকারের লক্ষ্য প্রথম দফার মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশকে টিকা দেওয়া। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সম্মতিতেই।
প্রথম দফার সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে মিলিয়ে ৭০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন পাচ্ছেন । যাঁদের মধ্যে ১১ লাখ এমবিবিএস চিকিত্সক, ৮ লাখ আয়ুষ কর্মী, ১৫ লাখ নার্স, ৭ লাখ এএনএম এবং ১০ লাখ আশা কর্মী।