
এ যেন বিস্ফোরণের পাহাড়। ফরিদাবাদ থেকে ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গি তথা ডাক্তার মুজাম্মিল শাকিলের দ্বিতীয় ভাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হল।

মুজাম্মিল একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছিলেন। তার দ্বিতীয় ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩,২০০ কিলোগ্রামেরও বেশি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক, একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক দিয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরি করা যায়। জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল দিল্লিতে নাশকতা ছড়ানো। সেই মতোই পরিকল্পনা করছিল তারা।

রবিবার আল ফালাহ হাসপাতালের কাছে এক ভাড়া বাড়ি থেকে রাসায়নিক উদ্ধারের পর শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সেই হাসপাতালে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসকের গাড়িতে

একজন মহিলা চিকিৎসকের গাড়িতে একটি অ্যাসল্ট রাইফেলও পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেই মহিলাকে আটক করা হয়।

লখনউয়ের লালবাগের বাসিন্দা ওই মহিবলা চিকিৎসকের নাম শাহিন। তদন্তকারীদের দাবি, তার গাড়ি শাকিল ব্যবহার করেছিল। সেখান থেকে তাজা কার্তুজও মেলে।

ঘটনা সামনে আসে যখন শ্রীনগরের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের সমর্থনে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয় আদিল আহমেদ নামে এক চিকিৎসক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই একের পর এক তথ্য সামনে আসতে থাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, ফরিদাবাদের একটি মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে শাকিল মুজাম্মিলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। আরও একজন ডাক্তারের খোঁজে ফরিদাবাদ ও তার আশেপাশে তল্লাশি অভিযান চলছে।

সন্দেহভাজন জঙ্গিদের থেকে এখনও পর্যন্ত তিনটি ম্যাগাজিন, ৮৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ সহ একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, আটটি তাজা কার্তুজ সহ একটি পিস্তল, দুটি খালি কার্তুজ, দুটি অতিরিক্ত ম্যাগাজিন, আটটি বড় স্যুটকেস, চারটি ছোট স্যুটকেস এবং সন্দেহভাজন বিস্ফোরক রাসায়নিক উদ্ধার করা হয়েছে।

তালিকায় রয়েছে পুলিশ ব্যাটারি সহ ২০টি টাইমার, ২৪টি রিমোট কন্ট্রোল,পাঁচ কেজি ভারী ধাতু, ওয়াকি-টকি সেট, বৈদ্যুতিক তার, ব্যাটারি এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ জিনিসপত্র।