কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ। সারা ভারতে ২৯৩৪ টি সাইট থেকে এই ভ্যাকসিন প্রদান হবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রথম দিনে ৩ লক্ষ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী টিকা পাবেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রথম দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। সূত্রের খবর স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকাভুক্তি ও টিকাপ্রদান পরিচালনা করা একটি সময় সাপেক্ষ বিষয় বলেও জানান হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর বর্তমানে ৩ হাজার কেন্দ্রে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হলেও আগামী দিনে ৫ হাজার কেন্দ্রে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী মার্চ মাসে দেশের প্রায় ১২ হাজার কেন্দ্রে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। পুরো বিষয়টি যাতে মসৃণভাবে সম্পন্ন করা হয় তার দিকেই নজর দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১ কোটি ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৯৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৭২৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারেও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১৯৮ জনের। দেশে অ্যাক্টিভকেসের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৬০৩। এক কোটিরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন।
এই মুহুর্তে ভারতে দুটি ভ্যাকসিন রয়েছে। এরমধ্যে একটি হল অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড’, যা তৈরি করেছে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট। অন্যদিকে দেশীয়ভাবে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভাক্সিন ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনগ্রহণকারীরা যে তাঁদের পছন্দ মতো ভ্যাকসিন বেছে নেবেন সেটা হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, প্রথমে ধাপে প্রায় ১ কোটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ও ২ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরপরে দেওয়া হবে সেইসব মানুষকে যাদের বয়স ৫০ বছরের ওপরে। স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের টিকা দেওয়ার খরচ বহন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে কোভিড ১৯-এর টিকাকরণ ৷ ওইদিন থেকে ভ্যাকসিনের প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে CO-WIN অ্যাপ লঞ্চ করবেন প্রধানমন্ত্রী ৷ এই অ্যাপের মাধ্যমেই কোভিড ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য আবেদন ও নাম রেজিস্টার করতে পারবেন সাধারণ মানুষ ৷
এদিকে বাগবাজারের স্টোর থেকে শেষ দফার বণ্টনের জন্য আজ কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ দুপুরে আরজি কর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, এসএসকেএম হাসপাতালের স্টোরে ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, বালিগঞ্জে ডিস্ট্রিক্ট ভ্যাকসিন স্টোরে নিয়ে যাওয়া হবে ভ্যাকসিন।