আসি ঘাট বারাণসীর সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। বারাণসীর বেশিরভাগ দর্শনার্থীর কাছে ঘাটটি বিদেশী শিক্ষার্থী, গবেষক এবং পর্যটকদের বাস করার জায়গা হিসেবে পরিচিত। অসিঘাটে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকরা এই ঘাট থেকে গঙ্গায় ভ্রমণের জন্য নৌকায় চড়তে পারেন। এছাড়াও এই ঘাটে প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান হয়। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী মহাকবি তুলসীদাস অসি ঘাট থেকেই স্বর্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনেই বেনারাসের এই আসি ঘাট সেজে উঠল নতুন সাজে। এদিন শিবতাণ্ডব উৎসবে মহিলারা সকলে মিলে প্রদীপ জ্বালালেন।
লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে গঙ্গার ঘাটে প্রদীপ জ্বালাতে দেখা যায় মহিলাদের। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, শিব তান্ডব উৎসবটি শিবভক্ত রাবণ শুরু করেন। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে শিব তান্ডব উৎসব মহাদেবের খুব পছন্দের।
এতে রাবণ ১৭টি শ্লোক দিয়ে শিবের পুজো করেন। এদিনও ছিল সোমবার। সোমবার শিবের দিন হিসাবেই মনে করা হয়। মহিলারা সকলে মিলে শিবের স্তব পাঠ করেন।
এবারে কাশীতে শিবরাত্রি একটু অন্যভাবে পালিত হবে। দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম কাশীর বাবা বিশ্বনাথের মন্দির। প্রতিদিন লাখো মানুষের সমাগম হয় এই মন্দিরে। আর শিবরাত্রির দিন তো কথাই নেই। দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজির হন ভক্তের দন। কিন্তু এবার প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হতাশ হতে হচ্ছে ভক্তদের। এবার শিবরাত্রির বাবা ভোলেনাথকে স্পর্শ করতে পারবেন না ভক্তরা। ভিড় এবং নাশকতা এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকতে না পাড়লেও বাইরে আরঘায় জল ঢালার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মহাদেবের শহর কাশী। এখানে প্রতিবছর ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয় শিবরাত্রি। শ্রাবণ মাসেও এখানে উৎসবের মেজাজ থাকে। আর পার্বতী ও শিবের বিয়ের উৎসব অর্থাৎ শিবরাত্রির দিন সারা বেনারস জুড়ে দেখা যায় রোশনাই। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা লাখো লাখো ভক্ত বিশ্বনাথ দর্শন করতে আসেন। সাত দিনে আগেই থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দেয় প্রশাসন। এবার করোনা আবহে মন্দিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কড়া সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। শইবরাত্রির দিন গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন না ভক্তরা।