দেশে যে হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা তা রুখতে টিকাকরণেই ভরসা রেখেছে সব মহল৷ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলে এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা চলছে। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন এই দুই টিকা দেওয়া হচ্ছিল ভারতে। এবার স্পুটনিক ভ্যাকসিনও দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷
রাশিয়া থেকে তৈরি স্পুটনিক ভ্যাকসিন আসার কথা রয়েছে দেশে। তিন টিকাই করোনাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম এমন দাবি করা হয়েছে৷ দেহে অনাক্রমতা গড়ে তোলারও ক্ষমতা রয়েছে এই তিনটি টিকার, মত স্বাস্থ্য মহলের।
রাশিয়ায় স্পুটনিক টিকার যে ট্রায়াল হয়েছে সেই রিপোর্ট অনুযায়ী DGCI ভারতে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার জরুরি অনুমতি দিয়েছে৷ Sputnik-V ভ্যাকসিন মানবদেহে করোনার বিরুদ্ধে ৯১.৬% কার্যকরী এমনটাই দাবি মস্কোর৷
কার্যকারীতার দিকটি যদি দেখা হয় তাহলে রাশিয়ার ভ্যাকসিনের তুলনায় বেশ কিছুটা পিছিয়েই রয়েছে ভারতের দুই ভ্যাকসিন৷ অবশ্যই সংখ্যার বিচারে। ভারত বায়োটেকের প্রস্তুত কোভ্যাকসিনের কার্যকারীতার হার ৮১%। অন্যদিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সেরাম ইন্সটিটিউট এর তৈরি কোভিশিল্ডের কার্যকারীতা প্রাথমিকভাবে ৭০.৪% থাকলেও এখন তা ৯০%।
কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে? টিকা নেওয়ার পর হালকা জ্বর, গায়ে ব্যথা ও ক্লান্তির উপসর্গ থাকছে। এখনও পর্যন্ত গুরুতর কিছু হয়নি। এই উপসর্গ দিন কয়েকের মধ্যে সেরেও যাচ্ছে।
গামালেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আবিষ্কৃত স্পুটনিক ভ্যাকসিন একমাত্র যা বিশ্বজুড়ে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। এটি একটি ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাকসিন। যেটি দেহে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে।
২০২১ সালের ল্যানসেট জানার্লে প্রকাশিত হয়েছিল যে রাশিয়ান ভ্যাকসিনেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। জ্বর, ম্যাথা যন্ত্রণা, গায়ে ব্যথা থাকছে। যদিও মারাত্মক কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের ওসুখ রয়েছে তাদের দেহে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
হায়দরাবাদ ভিত্তিক ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন সারস কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ট্রায়ালে ভাল কার্যকারীতা দেখিয়েছে৷ অ্যান্টিজেন স্ট্রেন দিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। মর্ডানা কিংবা ফাইজারের মতো mRNA দিয়ে তৈরি হয়নি। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাই কম।