বঙ্গোপসাগরে কি ঘূর্ণিঝড় 'মোচা'র (Cyclone Mocha 2023) সৃষ্টি হচ্ছে? মঙ্গলবার পর্যন্ত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট করে কোনও জবাব দেওয়া না হলেও, ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস দিচ্ছে আইএমডি।
মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানায় যে, আগামী ৬ মে শনিবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূণাবর্ত দক্ষিণ পূর্ব ও দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এর থেকে কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিস্টেমটির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে।
এদিকে India Meteorological Department বা IMD জানাচ্ছে ৬ মে নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সংলগ্ন অঞ্চলে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে আগাম সতর্কতা হিসেবে মঙ্গলবারই এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। আধিকারিকদের যে কোনওরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঘড় ফণীর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালে ঘূর্ণিঝড়ের পথ নির্ধারণ করা কঠিন।
আধিকারিকদের নবীন পট্টনায়কের নির্দেশ, নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের প্রয়োজনে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করতে হবে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরে ত্রাণ ও উদ্ধার জন্য আগেভাগেই পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। একইসঙ্গে, রাজ্যের মুখ্য সচিব পি কে জেনাকে নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এবং বিশেষ ত্রাণ কমিশনার সত্যব্রত সাহুকে সমস্ত বিভাগ এবং জেলার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন নবীন পট্টনায়ক।
যদিও ভুবনেশ্বরের আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, আইএমডি-র তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি।
এদিকে প্রশাসনের তরফে, মোট ১৭টি ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (NDRF) দল এবং ২০টি ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (ODRAF) দলকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। রাস্তা পরিষ্কারের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বন বিভাগকেও। সমস্ত জেলায় চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
আরও পড়ুন - মদের সঙ্গে এই খাবারগুলি ছুঁলেই সর্বনাশ, জেনে নিন কী কী খাবেন?