২২ তারখি পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেটি আজ সকালে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এখন তার অবস্থান বঙ্গোপসাগরের উপরে ৫৯০ কিমি দূরে পারদ্বীপ থেকে। দিঘা থেকে ৬৭০ কিমি দূরে।
সোমবার সকালে এটি ঝরে পরিণত হবে। তারপর পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে আসবে। ২৫ তারিখ এটি আরো শক্তি বাড়িয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঢুকবে।
হাওয়া অফিস বলছে পারাদ্বীপ ও সাগর ২৬ তারিখ সন্ধে বেলায় অতিক্রম করবে। এর ফলে ২৫ তারিখ দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি তে বৃষ্টি শুরু হবে।
২৬ তারিখ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনাতে ভারি বৃষ্টি হবে। ২৭ তারিখ উত্তরবঙ্গে ভারি বৃষ্টি হবে। এছাড়াও পশ্চিমের জেলাগুলোতে ২৭ তারিখ ভারি বৃষ্টি হবে।
২৪ তারিখ বঙ্গোপসাগর উপকূলে ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে হাওয়া বইবে ও ২৫ তারিখ শক্তি আরো বাড়বে। ২৬ তারিখ-এর গতি থাকবে ১১০। যখন স্থালোভাগে ঝড় ঢুকবে তাখন গতি থাকবে ১৫০ কিলোমিটার।
বুধবার স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, এমনটাই পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও ওড়িশার পারাদ্বীপের মধ্যে দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে হওয়া অফিস।
শনিবার বিকেল থেকে দিঘা-গঙ্গাসাগরে মৎস্যজীবীদের নৌকা নামাতে নিষেধ করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ভাঙা বাঁধ সারানো হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফের ৩২টি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। এই ৩২টি দলের মধ্যে ২২টি দল ইতিমধ্যে এই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এনডিআরএফের এই সব দলকে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ভারতীয় সেনাকেও।
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডিজি সত্যপ্রধান। টুইট করে তিনি জানান, উদ্ধারকাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বিমান। সাগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে এনডিআরএফ।একাধিক জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলছে।
ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। সেনার ৮ কলম সেনা ও একটি ইঞ্জিনিয়ার টাস্ক ফোর্সকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।পাশাপাশি ওড়িশার জন্য ২ কলম সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে উদ্ধারকাজে আরও সেনা লাগানো হতে পারে বলেও সেনাবাহিনী সূত্রে জানানো হচ্ছে।